জিনিয়াস কিংবা এক্সট্রা-অর্ডিনারি না হতে পারার দূ:খ কখনই আমাকে কষ্ট দেবার সুযোগ পায়নি আর আমি সাধারনের মাঝে একজন একজন অতিসাধারন, আমার মেধাবি গাধা হবার কোন ইচ্ছা নাই। আর এভাবেই আমি কাটিয়ে দিতে চাই আমার জিবন্টা, আমি নীল আমার এই আমাকে নিয়ে অনেক সুখি। ক্লাস ওয়ানের
ভর্তি পরীক্ষাতেও জিপিএ
সিস্টেম চালু করা উচিত।
গোল্ডেন
না পাওয়াতে নিশ্চয়ই ৩-৪
বছর বয়েসী কেউ না কেউ আত্মহত্যা করবে !
আত্মহত্যা ছাড়া আজকাল
আমাদের রেজাল্ট দিবস
গুলো আত্মগ্লানিতে ভোগে অনেকটা।
আমাদের উচিত রক্ত শপথ
নেয়া, জন্মের পরে বাচ্চা কথা বলা ও
বোঝা মাত্র
তাকে শেখানো "তুই
পৃথিবীতে আসছিশ জিপিএ
ফাইভ পাইতে।
যেই সেই
ফাইভ না, গোল্ডেন ফাইভ। পাইলে আদর,
না পাইলে দূরে গিয়া মর" !!!! ছোট থাকতে আমি ভাবতাম,
সবার আব্বু-আম্মু একই রকম।
আমি এতো বড় হয়েছি, বাপের
হাতে মাইর তো দুরের কথা,
বাপ কোনদিন ধমক ও দেয়
নাই। কেজিতে থাকতে পরীক্ষার
সময়
জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়
ছিলাম, সব পারতাম,
লিখতে ইচ্ছা করতেসিলো না (এখনও
তাই করি মাঝে মাঝে), ফলাফল ৩১ তম।
আব্বা বলছিলো, "ব্যাড
হ্যাবিট ! পরেরবার
ভালো করতে হবে"।
ফাইভে,
এইটে বৃত্তি পাইলাম না,
আব্বা বললো "ব্যাড হেবিট ! পরেরবার ভালো করতে হবে",
এসএসসি-এইচএসসিত
ে গোল্ডেন পাইলাম না,
আব্বা বললো " পরেরবার
ভালো করতে হবে"। আব্বারও
চোখ ভিজেছে। কিন্তু গলার স্বরের কোন পরিবর্তন
আমাকে ধরতে দেয় নাই।
আমি ভাবতাম, সবার আব্বা-
আম্মাই বুঝি এমন। না, এখন
বাপ-মা অনেক স্মার্ট !
তারা ছেলে- মেয়ে নিয়ে সমাজে ইনভেস্ট
করে, সমাজে স্ট্যান্ডার্ড
ধরে রাখতে।
বৃত্তি এখন আর
আর্থিক সাহায্য না,
সামাজিক স্ট্যান্ডার্ড !
জিপিএ ফাইভ এখন আর কোন রেজাল্ট না এটা এখন
ল্যাপটপ এর প্রাইজ কুপন
কিংবা ফাঁসির দড়ি ! ১৩-১৪ বছর
বয়েসী দুইটা ছেলে, কতোই
না অভিমান
করে পৃথিবী ছেড়ে গেলো।
তোমাদের অভিমানের জন্য
আমিও দায়ী, আমরা সবাই দায়ী। আমরা কেউ
তোমাকে বোঝাতে চাইনি কখনোই,
জিপিএ ফাইভ মানে জীবন
না।
তোমরা আমাদেরকে ক্ষমা করো না কোনদিন !
Courtesy: Nishom Sorkar ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।