দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...
হিন্দি সিনেমা গুন্ডা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। কি আছে সিনেমায় তাই দেখতে গিয়েছিলাম। দেখে এলাম হিন্দি সিনেমা গুন্ডে।
গত ক'বছর ধরে বলিউডের সিনেমার শনি লেগেছে।
এক্সপেরিমেন্ট এর নামে পাগল হয়ে গেছে বিশ্বের সর্ববৃহত মুভি ইন্ডাস্টি্রর ধারক বাহকেরা। সেজন্যই তারা বানানো শুরু করেছে গুন্ডের মত সিনেমা।
ছবির শুরুতে যথারীতি ডিসক্লেইমারে লেখা ছিল, এই ছবির সকল চরিত্র কাল্পনিক ... গুন্ডে ছবির শুরু ঢাকা ডিসেম্বর ১৯৭১ আর জানুয়ারী ১৯৭২ এ জেনেভা ক্যাম্প। অলীক এক সেট দেখানো হয়। বলা হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পাক ভারতের তৃতীয় যুদ্ধ শেষ হয় এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
ছবির নায়ক জেনেভা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই নন বেঙ্গলি নন মুসলিম শিশু বালা আর বিক্রম। যেখানে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ আর্মির এক মুসলিম সদস্যকে দেখানো হয় এই দুই শিশুর এক শিশু বিক্রম কে ধর্ষন উদ্দত। অপর শিশু বালা খুন করে বাংলাদেশ আর্মির সেই সদস্যকে। তার পর বালা আর বিক্রম কোলকাতাগামী এক ট্রেনে উঠে কোলকাতা, ভারতে চলে যায়। ১৯৭২ সালের জানুয়ারী মাসে ঢাকা থেকে ভারতগামী ট্রেনের গায়ে ইংরেজী অক্ষরে লেখা থাকে DHAKA.
১৯৭২ এ ঢাকা যে DHAKA ছিলনা নুন্যতম এই ধারনাটাও নির্মাতার নেই।
এমন কান্ডজ্ঞান নিয়ে একটি আগাগোড়া বাস্তবতা বর্জিত সিনেমার গল্পে কেন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ও প্রেক্ষাপট জোরজবরদস্তি ভাবে আনতে হবে তার কারণ মোটেও বোধগম্য নয়! ফেইসবুকে দেখলাম এরই মাঝে নিন্দাবাদ শুরু হয়েছে প্রতিবাদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযোগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির। অপমান করা হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের ত্যাগতিতিক্ষা আর গৌরবের মুক্তিযুদ্ধকে। প্রকৃত এই ছবিটি আগাগোড়া বিচারে চুড়ান্ত এক মস্তিষ্ক বিকৃতি। এ ছবি যেমন অযাচিত ভাবে বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে ফাজলামো করা হয়েছে তেমনি ফাজলামো করা হয়েছে ভারতের বিশেষ করে কোলকাতার বাঙালিদের সাথে।
অপমান করা হয়েছে মা দূর্গা, মা কালি আর মাদার তেরেসাকে। অপমান করা হয়েছে পশ্চিম বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি ও পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারত সরকারকে। বলিউডের এক দল অশ্লিল সিনেমা অলারা সিনেমায় বৈচিত্র খুঁজতে গিয়ে আর পয়সা কামাতে চেয়ে যা ইচ্ছা তাই দিয়ে যা পারা যায় তাই করা শুরু করেছে। করতে করতে কোথায় এসে থামতে হবে, কি করবে আর কি করবে না তার হুশ জ্ঞান বেমালুম হারাতে বসেছে। নয়তো কোটি কোটি টাকার শ্রাদ্ধ করে এমন গার্বেজ কেন নির্মান করতে যায় কেউ? আর ভারত সরকারও ব্যাবসায়ের নামে দিব্যি লাগাম ছেড়ে দিয়ে রেখেছেন! বিগত বেশ ক'বছর যাবত হলিউডের কারিগরি আর ভারতীয় নির্মাতারা মিলে বদহজম চলচ্চিত্রের নির্মানের মচ্ছব লাগিয়ে রেখেছে তারই সর্বশেষ নমুনা আলোচ্য সিনেমা গুন্ডে।
বলিউড যখন একেরপর এক এমন অসুস্থ ছবি নির্মাণ শুরু করেছে তখন আমাদের এদিকে বাংলাদেশের একদল ভারতীয় সিনেমাকে বাংলাদেশে ঢোকানোর জন্য মরিয়া হয়ে যাচ্ছে! তাদের বলতে চাই, বাংলাদেশের সিনেমা নিজেরমত করেই তৈরি হউক নিজেরমত করে উঠে দাড়াক দরকার নাই ভারতের এই কান্ডজ্ঞান বর্জিত উন্মাদ সিনেমার আমদানী। আর সেই সাথে গুন্ডে ছবির মত এমন অনর্থ নির্মানের সাথে জরিত সংশ্লিষ্ট সকলের মানসিক আরোগ্য কামনা করি। গেট ওয়েল সুন পিপল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।