আবারও ক্রিকেট ফিরছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। তবে কোনো ম্যাচ নয়, টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে এখানে। আগে শোনা গেলেও বিষয়টি চূড়ান্ত ছিল না। গতকালই চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ১ নম্বর ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই টি-২০ বিশ্বকাপের বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব শ্রীবনাথ রায় বলেছেন, ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই।
মনোমুঙ্কর অনুষ্ঠান বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছিল। যদিও টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধন তেমনভাবে বর্ণাঢ্য হয় না। কিন্তু বাংলাদেশ চাচ্ছে আয়োজক হিসেবে আসরকে স্মরণীয় করে রাখতে। ১৬ মার্চ থেকে ম্যাচ শুরু হবে তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভেন্যু হিসেবে এবারও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ৯-১৫ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম বিসিবিকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
১৩ মার্চই সম্ভবত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে পারেন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এখনো পেশাদার ফুটবল লিগের প্রথম পর্বের বেশ কটি খেলা বাকি রয়েছে। শনিবার থেকে লিগ পুনরায় মাঠে গড়াবে। তাই ৯ মার্চ থেকে সাজসজ্জা শুরু হবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে।
তবে স্টেডিয়ামের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইয়াইয়া জানান, এর আগেই সাজসজ্জার কাজ শুরু হয়ে যাবে। কারণ হাতে একদম সময় নেই। গতকালই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা স্টেডিয়ামে পরিদর্শনে আসেন। শুধু মাঠ নয় বিশ্বকাপকে ঘিরে পুরো স্টেডিয়াম আঙ্গিনায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হবে। নিরাপত্তার কথা ভেবে ১০ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত স্টেডিয়াম এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রাখা হতে পারে।
নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এলাকায় অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্প বসানো হতে পারে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে উদ্বোধন হলেও অনুষ্ঠানে কি কি থাকবে তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা। সবচেয়ে বিস্ময় ব্যাপার বঙ্গবন্ধু ভেন্যুতে যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হচ্ছে বোর্ডের অনেক পরিচালকের তা জানা নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।