আজকে আবার রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ভিক্ষা দেবার কথাটা মনে পড়ল। খুনী, সন্ত্রাসীদের কী সুন্দরভাবে ক্ষমা করে সরকারের শীর্ষস্থানীয়দের মাধ্যমে গলায় রঙ্গীন বরন পুষ্পমাল্য প্রদানপূর্বক বরণ করে নেবার সচিত্র বিবরণ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। যেহেতু আইন মোতাবেক এটা বৈধ ছিল, তাই আমাদের কিছু করার ছিল না। কিন্তু কাজটা কি ঠিক ছিল? আইন মোতাবেক বৈধ হলেই কি সবকিছু আসলেই বৈধ হয়ে যায়? মিথ্যা মামলায় কোন নির্দোষ ব্যাক্তি দোষী প্রমাণিত হলেই সে আসলেই অপরাধী হয়ে যায়?
যেহেতু বাবা আই সি সি বলেছেন সেহেতু সবই বৈধ। এর মধ্যে কোন অপপ্রয়োগ থাকলেও সেটা বৈধ।
আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এখন গর্ববোধ করব।
আমরা তো আসলে ফকিন্নি। দয়া করে কুটো কাটা যা দেয় তাই লাভ। উচ্ছিষ্ট ভক্ষণ আমাদের নিয়তি। বাবা ইন্ডিয়া যাহা বলিয়া থাকে তাহাই কার্যে পরিণত করিতে হইবে কোন বাছ বিচার না করিয়া অপরিণত বালকের ন্যায়।
আই সি সি'র আই এখন ইন্ডিয়া শব্দটিকে ধারণ করছে বলেই ধারনা করছি।
কতটা মেরুদন্ডহীন হলে নিজেদের এবং নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি অনুষ্ঠানের কর্তৃত্ব অন্যের হাতে চলে যায়? কতটা ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে আমাদের কর্তৃত্বের দন্ড এভাবে নেতিয়ে পড়ে অন্যের সামনে? এবং এর সবই হচ্ছে স্বেচ্ছায়।
আমাদের নাকি গর্ব করা উচিত। কয়েকজনের বক্তব্যে তাই দেখলাম। আর একটু এগিয়ে পাসপোর্টটা বদলে নিলেই একেবারে সম্পূর্ণ গর্বে গর্বিত হয়ে একদম গর্ভবতী হয়ে যাই কিন্তু! দন্ড যখন নেতিয়ে আছে তখন আর কি করা।
অন্যের দন্ডের বিরুদ্ধে দন্ড খাড়া করে প্রতিরোধ করতে না পারলে দন্ড গ্রহন কর এবং গর্বে গর্ভবতী হও।
এর থেকে অনুষ্ঠান না হওয়াই ভাল ছিল। চড় খাওয়ার থেকে কোন কিছু না খেয়ে থাকা উত্তম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।