নবনীতার হাসি
টোকন ঠাকুর
সেসময়, অামরা দেখেছি নবনীতার হাসি। অাসরা দেখেছি, কয়েকলক্ষ রাজহাঁস উড়ে যাচ্ছিল শাহবাগের অাকাশের দিকে। অামাদের ভালো লাগছিল, কারণ, অামরা বখে গিয়েছি গড্ডল হাওয়ায় পোড়া পাতার বাঁশিতে, যতটুকু মধু, তার বেশি বিষে। যদ্দুর মনে পড়ে, নবনীতার দাঁতের ওপরে ট্যাব খেয়ে থাকা দাঁত দেখতেও অামাদের ভালো লাগত। মাঝেমধ্যে অামরা সেই দাঁত-মাধুর্যের শিলালিপি পড়তে যেতাম। দেখতাম, কর্মযজ্ঞে পড়ে তিনি অার অতবেশি হাসতে পারছেন না, এদিকে না হাসলে তো অামাদের গমন-উদ্যেশ্যই বৃথা। অামরা সেই দাঁত-মুগ্ধতা পাব কী করে? তাই, হাসির দরকার হয়। হাসলেই, অামরা দেখতে পাই, ফরাসি বিপ্লবের চেয়ে নবনীতার দাঁতই অনেক বেশি মিষ্টিময় ভূমিকা রেখে গেছে অামাদের জীবনে
অনেকদিন পর, অাবার অামরা দেখি, নবনীতার হাসি। তিনি কী কারণে যেন হাসছেন অার আর অামরা অামাদের স্মৃতিসমগ্রের ভেতর দিয়ে ঢাকার অাকাশে কোনো একসময় রাজঁহাস-জাতীয় অভিজ্ঞতার মুখোমুখি বসে টের পাচ্ছি, নবনীতার হাসি সংরক্ষণ করে রাখা দরকার, পরবর্তীতে যারা অাসবে, তারা তো দেখবে না এই হাসি, এই দাঁত, ট্যাব খাওয়া দাঁত।
সত্যি কথা কি, এও খুব ভালো লাগা, যে, এই বসন্তে জাদুঘর নয়. প্রত্নকোঠার কাহিনীবাড়ি দেখতে যাওয়াও নয়, বাঁদাবন নয়, যদি যাই, দেখতে যাব নবনীতার দাঁতের সন্ত্রাস...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।