সাভারের রানা প্লাজা ধসে হতাহতদের অনুদানের জন্য তোলা টাকায় পিকনিক করলেন নাটোরের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার নাটোরের সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই পিকনিকের আয়োজন করা হয়।
এই পিকনিকের আয়োজনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মো. বেলাল হোসেন।
সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী সাভারের রানা প্লাজা ধসে আহতদের জন্য নাটোর সদরের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত মেডিকেল অফিসার,স্বাস্থ্য সহকারী, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহ-স্বাস্থ পরিদর্শক, মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ফার্মাসিস্ট, ল্যাবরেটরী টেকনিসিয়ান, ইপিআই টেকনিসিয়ান ও কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্টাফসহ মোট ১৪৪ জনের একদিনের বেতন কেটে নেওয়া হয়।
এরমধ্যে পরবর্তীতে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত ৪২ জন স্টাফের কাছ থেকে উত্তোলন করা টাকা রানা প্লাজা ধসে আহতদের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলেও স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত অবশিষ্ট ১০২ জনের কাছ থেকে উত্তোলিত প্রায় ৪০ হাজার টাকা না পাঠিয়ে কর্মকর্তাদের কাছে রেখে দেওয়া হয়।
এরপর গত কয়েকদিন পূর্বে পিকনিকের নামে যারা সে সময়ে একদিনের বেতন জমা দিয়েছিলেন তাদের কারো কারো কাছ থেকে পিকনিকের কথা বলে জনপ্রতি ৪০০ টাকা করে আদায় করা হয়। এরপর সদরের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত অনেককে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী পিকনিকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। পিকনিকে অনুদানের জন্য সংগৃহিত ৪০ হাজার টাকাও খরছ করা হয়।
পিকনিকের ২৫০ জনের জন্য ৪০০ প্যাকেট খাবারও সরবরাহ করা হয়। খাবারের মেনু ছিল পোলাও, মুরগীর রোস্ট, খাসির মাংস, সব্জি, দই, ঠান্ডা ও কোমল পানীয়।
পিকনিকে স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাও সস্ত্রীক দাওয়াত পান। এ ধরনের পিকনিক থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরতদের সন্দেহ রানা প্লাজার আহতদের জন্য উত্তোলন করা টাকা থেকেই এ পিকনিকের আয়োজন করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. বেলাল হোসেনের মোবাইল ফোনে পিকনিকের ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি পিকনিক করার কথা স্বীকার করেন।
তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সদর উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের কাছ থেকে রানা প্লাজায় আহতদের জন্য উত্তোলন করা টাকা অনেক আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান। কাজেই রানা প্লাজার আহতদের জন্য তোলা টাকা দিয়ে পিকনিক করার কথা সঠিক নয়।
এ বিষয়ে নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পিকনিক করার সত্যতা স্বীকার করলেও ওই টাকার বিষয়ে তিনি কোন তথ্য জানেন না বলে জানান।
তবে তিনি বলেন কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের কাছ থেকে উত্তোলন করা টাকা রানা প্লাজায় আহতদের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মরতদের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। যদি সে রকম কোন ঘটনা ঘটে থাকে তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হায়রে মানবতা
http://www.sheershanews.com/2014/02/26/27395
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।