শেষপর্যন্ত গ্রেফতার হতে হল সাহারা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুব্রত রায়কে। শুক্রবার সকালে প্রথমে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন সাহারাশ্রী। এরপরেই তঁাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন সুব্রত রায়ের আইনজীবি রাম জেঠ মালানি সুপ্রিম কোর্টে সাহারাশ্রী'র গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেন।
বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সাহারা প্রধানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরেই গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট নিয়ে সুব্রত রায়ের লখনউয়ের বাসভবনে যায় রাজ্য পুলিশের একটি বিশেষ দল। কিন্তু খালি হাতেই ফিরে আসতে হয় পুলিশকে। গ্রেফতারি পরোয়ানার নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুব্রত রায়। শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ফলে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত তঁাকে পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি কে.এস.রাধাকৃষ্ঞাণ এবং জে.এস.খেহারের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায় আগামী ৪ ঠা মার্চ দুপুর দুই'টার মধ্যে সুব্রত রায়কে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করাতে হবে। সাহারা রিয়েল এস্টেট ও সাহারা হাউসিং কোম্পানিতে অর্থলগ্নিকারীদের ২০ হাজার কোটি রুপি মিটিয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সুব্রত রায় সহ তঁার সংস্থার অন্য তিনজন ডিরেক্টরকে ব্যক্তিগত হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু সাহারার অন্য তিন ডিরেক্টর অশোক রায় চেৌধুরী, রবিশঙ্কর দুবে এবং বন্দনা ভার্গব আদালতে হাজির থাকলেও আদালতের ওই নির্দেশ অমান্য করেন সাহারাশ্রী। বৃদ্ধা মায়ের শারীরিক অসুস্থতার কারন দেখিয়ে বুধবার মামলার শুনানির সময় সুব্রত রায় অনুপস্থিত থাকায় তঁার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।