মামার আস্তানায় কুশিক্ষা ছাড়া কিছুই নাই !
মির্জা চাচা একজন খাঁটি অলস মানুষ। পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত আটতলা বাড়ির ভাড়া তোলে খায় আর ঘুমায়, আর কোন কাজ করতে চাচার মন নাহি চায়। মির্জা চাচার ছেলে-মেয়ে এমনকি বউ মাত্রাতিরিক্ত ক্রিকেট ভক্ত অন্যদিকে ক্রিকেটে মির্জা চাচার অসম্ভব রকমের এলার্জি। ক্রিকেট স¤পর্কে মির্জা চাচার বক্তব্য, তক্তা দিয়ে বল মারামারি এটা কঠিন রকম বাড়াবাড়ি।
আজ এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচ।
ক্রিকেট পাগল পরিবারের সবাই যখন খেলা দেখে মির্জা চাচা বিশাল এক ভুড়ি ভোজ শেষে ঘুমাতে গেলেন। ঘুমেও মির্জা চাচার শান্তি নাই, পাশের রুমের টিভির শব্দে চাচার ঘুম আসছে না। উপায় না পেয়ে মির্জা চাচা নাকে দিলেন তেল কানে দিলেন তুলা, ধমক দিয়ে ছেলেকে বললেন এইবার দেখ তোরা খেলা।
মির্জা চাচা নাক ডেকে ঘুম আরম্ভ করলেন। চাচা চলে গেলেন স্বপ্নের জগতে, মিরপুর স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রুম! এশিয়া কাপে অংশগ্রহনকারী দলের অধিকাংশ খেলোয়াড় আড্ডা মারছে।
মির্জা চাচাও তাদের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন এবং তার সামনে বালতি ভর্তি পপকর্ন। মির্জা চাচা একটা একটা পপকর্ন নিচ্ছেন কিছুক্ষন চিবুচ্ছেন!
হঠাৎ করেই আফ্রিদি আসলো, চাচার বালতি থেকে একমুঠো পপকর্ন নিয়েই চাচার উদ্দেশ্য বলল, মির্জা কাকু ফাইনাল ম্যাচের প্রাইজ মানিটা আমার লাগবে! সব দলের বোলারদের আরো উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে চাই, শুধুমাত্র বোলারদের জন্যই আমার ৩৭ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ডটা অন্য জনের দখলে! অনেক দিন যাবৎ আমার চোখে ঘুম নাই, এশিয়া কাপে তাই ভাল খেলতে পারিনি। চাচা দিলেন ধমক! এই ছেলে ভাল করে ব্যাটিং কর, তুমার রেকর্ড আবার তুমিই গড়বা।
ঠিক তখনই লাসিথ মালিঙ্গা উচ্চস্বরে আনন্দমাখা গলায় বলল, মির্জা কাকু মির্জা কাকু, আমি একাই তো পুরো পাকিস্থান দলকে আউট করেছি, আপনি প্রাইজ মানি আমাকে দেন সবার চুলে জেব্রা কালার মেরে দেই দেখবেন সব বোলার আমার মত বল করছে! এই কথা শুনে লাফ দিয়ে দাঁড়িয়ে গেল কোহলি, চাচা এদের এসব কথা শুনে লাভ নাই বল যত ভালই হোক আমার কাছে নিস্তার নাই সব বলেই বাউন্ডারি চাই! চাচা আবার ধমক দিয়ে সবাইকে থামিয়ে দিলেন।
বালতি ভরা পপকর্ন খেতে খেতে চাচার ভুড়ি বাড়তে শুরু করেছে।
ভুড়ির সাইজ এমন হয়েছে যে ভুড়ির চূড়া চাচার নাগালের বাইরে, চাচা চুলকাতে পারছেন না। সাকিবকে ডাকলেন, তুমিতো এশিয়া কাপে আজাইরা বসে ছিলে, খেলতে পারো নাই, আমার ভুড়ির বাউন্ডারিটা একটু চুলকে দাও! সাকিব ভয় পেয়ে হাক দিয়ে বলল, এনামুল মমিনুল শফিউল তোরা সব মাঠে যা, সবকটা উইকেট খা, আমি দেখি চাচার ভুড়ি, দেই একটু সুড়সুড়ি! চাচা চিৎকার দিয়ে সাকিবকে বলল, তুমি দিবে সুড়সুড়ি দরকার নাই আমি হাসতে হাসতে খাই গড়াগড়ি তাতেই মেরামত হবে আমার ভুড়ির বাউন্ডারি! এমন সময় আফগান দলনেতা নবী বললেন কাক্কু প্রাইজ মানি আমায় দিন, গড়ি আফগান ক্রিকেট টিম আসবে আমাদের ক্রিকেটের সুদিন! নাছোড়বান্দা সাকিব চাচার ভুড়ি চুলকাতে শুরু করে দিয়েছে, চাচা হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাচ্ছে। বিকট একটা আওয়াজ!
চুলকাতে গিয়ে চাচার ভুড়ি ব্লাষ্ট হয়ে গিয়েছে! মির্জা চাচা লাফ দিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠলেন। ভুড়ি ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করতে লাগলেন, ভুড়িতে হাত বুলাতে বুলাতে ভাবছেন দুষ্ট ছেলেরা স্বপ্নের ভেতর আমার ভুড়ি ফুটো করে দিল! আসলেই দিনকে দিন বেড়েই চলেছে মির্জা চাচার ভুড়িটা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।