কষ্ট হলেও এটা মানতেই হবে যে বয়সকে আমরা ধরে রাখতে পারবো না। দ্রুত সময় কেটে যাওয়া মানেই হচ্ছে আমাদের বয়স বেড়ে যাওয়া। এতে হতাশ হওয়ার প্রয়োজন নেই। এর কারন বয়সের ছাপকে আমরা চাইলেই কমাতে পারবো। অনুশীলন, কিছু নিয়ম কানুন, খাদ্যাভ্যাস আর সচেতনতা আমাদেরকে সাহায্য করবে বয়সের ছাপকে ঢেকে রাখতে।
#
কমপক্ষে সাত ঘণ্টা ঘুমান। ঘুমানোর সময় পিঠের উপর ভর করে ঘুমান। অনেকেই পেটের উপর ভর দিয়ে ঘুমায়। এতে চেহারার উপর প্রেশার সৃষ্টি হয়, যা চামড়াকে ঝুলিয়ে দেয়।
#
মুখের বয়সের ছাপ বা বলীরেখার জন্য প্রধানত দায়ী সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি।
তাই যতটা সম্ভব সূর্যের রশ্মি থেকে দূরে থাকুন। বিশেষ করে সকাল ১১টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত। অবশ্যই ভালো সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন শুধু ত্বককে কালো করা বা বলীরেখা দূর করতে সাহায্য করে না, এটি ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
#
ধূমপান করবেন না।
ধূমপান ত্বকে বলীরেখা সৃষ্টির জন্য অনেকাংশে দায়ী।
#
খুব বেশি কপাল কুঁচকাবেন না। চোখে সমস্যা থাকলে চশমা ব্যবহার করুন। অনেকেই আছেন চোখ মুখ কুঁচকিয়ে কোন কিছু দেখার চেষ্টা করেন বা অধিকাংশ সময় চেহারায় একটি বিরক্তিকর ভাব নিয়ে থাকেন। এতে চামড়ার উপর প্রভাব পড়ে,যা তাড়াতাড়ি বলীরেখাকে প্রকাশ করে।
#
মুখ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। আবার অতিরিক্ত মুখ ধোয়া ঠিক নয়। কারণ অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো নয়। রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ঘুমান।
#
মুখের মধ্যে যতটা সম্ভব কম হাত লাগান।
#
সপ্তাহে ২ বার পাকা কলা চটকে মুখে গলায় ঘাড়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
#
ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগান।
#
ঘুমানোর আগে সপ্তাহে ২-৩ বার অলিভ অয়েল কয়েক ফোঁটা হাতে নিয়ে ৫ মিনিট মুখে ম্যাসাজ করুন। তারপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন।
#
মুখের যে অংশে মনে হচ্ছে কিছুটা বলীরেখার প্রভাব পড়ছে ,সেখানে লেমন জুস দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এছাড়া প্রতিদিনের অভ্যাস এবং খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে আনুন। ভাজা পোড়া খাবার যত কম খাবেন ততই ভালো। প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন। টেনশন থেকে দূরে থাকুন।
হাস্যজ্জ্বল থাকুন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।