কোথায় গেলে বুদ্ধিজীবি'র লাইসেন্স পাওয়া যায়, সুশীল সমাজের বড় মেম্বার হওয়া যায়.।
বাংলাদেশ পাকিস্তান ম্যাচঃ বোনাস পেয়ে জিতে যাব আশা করে যেখানে হারতে বসেছি তখন আশার আলো হয়ে আসা আফ্রিদির ক্যাচ মুশফিক ফেকে দিলে আমরা হতবিহবল হয়ে বিষন্ন চিত্তে হতাশায় মুখ লুকিয়েছি। মুশফিকের চোখের কোনে পানি আমাদেরও অশ্রুসিক্ত করেছিল। দেশের ক্রিকেটকে খুব ভালোবাসি বলেই হয়তো।
আবেগ,দেশপ্রেম,দলের বিপর্যয়ে আহাজারি , সবই মানলাম কিন্তু ঐ পাঁচ তরুনীর কান্নাকাটি একটু বেশিই দৃষ্টিকটু লেগেছিল সেদিন।
অন্যদের ও দেখাচ্ছিল তারা কিন্তু ঐ ভাবে হাওমাও করে কাঁদেনি । তারাও ছিল বিমর্ষ , তাদের চোখ ছিল আশ্রুসিক্ত। তাই বলে তারা কি টিমকে, দেশ কে কম ভালোবাসে ? না, অবশ্যি না। আর এক এক জনের আবেগের ধরন একেক রকম মানছি। কিন্তু ঐ চার তরুনীর আহাজারি দেখে মনে হচ্ছিল যে তারা কোন নিকট আত্মীয়ের ফিউনারেলে এসেছে।
তাছাড়া ইদানিং একটা জিনিস লক্ষ্যনীয় যে ক্যামেরা ম্যানের দরুন সুন্দরী মেয়েদের উপস্থিতি মাঠে লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রচুর । তাই মেয়েরা এখন বেশি সাজুগুজু করে গ্যালারী তে আলো ছড়াচ্ছে। তাদের অনেকেই যাচ্ছেন বান্ধবীদের সাথে 'সেলফি' তুলে ফেসবুকে ছবি আপ করতে।
যাই হোক, এত গুলো কথা বলতাম না যদি না তারা ম্যাচ শেষে নিচের ব্যানারখানা না দেখাতেন। যারা আগে থেকে ধরেই নিয়েছে বাংলাদেশ ম্যাচটি জিত্তে পারবেনা বলে " টাইগারস স্টিল উই আর উইথ ইউ "' লিখে নিয়ে এসেছে তাদের এমন আহাজারি কে ব্যাঙ্গাত্মক কর্মকান্ড বলে মনে করলে দোষ থাকবেনা আশা করি।
বিঃদ্রঃ সম্পুর্ণ ব্যাক্তিগত মতামত। কারও অপছন্দ হলে এড়িয়ে যাবার জন্য অনুরোধ করা গেল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।