ছায়ায় হারাই
আগে ভালোচনাটুকু পড়ুন। তারপর হট বা সেকসি গল্পটি পড়বেন। মজা পাবেন।
১.
পাখি বলের নাম ফেসবুক বন্ধু তালিকা থেকে কেটে দিয়েছেন সুমন রহমান। তিনি কবি।
কবিতা লেখেন। তার কবিতার প্রিন্ট বের করেছেন কাজল চাচা। কাজল চাচা নিজে কবিতা টবিতা লেকেন। অন্যদের কবিতাও পড়েন মনোযোগ দিয়ে। আমার কবি প্রতিভা নাই দেকে বকাঝকা করেন।
সুমন রহমানের কবিতাটি দেকলাম। নাম- মেঘশিশু। পরিচিত টচিরিতি মনে হল নামটা। বললাম, কোথায় যেন দেকেচি এই নামটা?
চাচা গজ গজ করে ভরলেন, কোথায় আবার, জয় গোস্বামীর বিখ্যাত কবিতা- মেঘবালিকা। এখান থেকেই সুমন রহমান টুকলি কইরা দিছেন।
বললাম, তাতে কি হয়েচে? এক নামে কি অনেক কবিতা হতে পারে না? এই যেমন- রবীন্দ্রনাথের সঞ্চয়িতা। নজরুলের সঞ্চিতা। নামে কি অসাধারণ মিল। করে ঝিলমিল।
চাচা রেগে গেলেন, পারবে না কেন ? কবিতা অনেক রকম হতে পারে।
আর রবীন্দ্রনাথ নজরুলের কথা বলছিস? ওনাদের মধ্যে কি কোনো নোংরামী ছিল? অসৎ উদ্দেশ্য ছিল? জীবনে খারাপ কিছু করেছেন? খারাপ দলে মিশেছেন?
-কথা বলতে বলতে রাগ কেন চাচা?
- রাগব না। এই সুমন রহমানরা বাংলাদেশের আশি দশকের আগের কবিতাকে বলল, ওগুলো কবিতা না। ওগুলো রাজণীতি নির্ভর কবিতা। কবিতার দায় মেটায়নি। কবিতা হবে নন্দনিকতার সূত্র মেনে।
নিজস্ব স্টাইল থাকতে হবে। আর নিজেরা কবিতা লিখছেন অন্যের শব্দ ধার কইরা। অন্যের স্টাইল ধার কইরা। পাখি বলে তো বলছেন- সুমন রহমান পশ্চিম বঙ্গের কবি রনজিৎ দাশকে অনুসরন কইরা কবিতা লিকছেন। তার নিজের কবিতার ভাষা নেই।
সুমন রহমানদের কবিতা পড়লেই মনে হয়, অন্যের কবিতা পড়ছি।
আমি বললাম, চাচা, পাখি বলে বললেই তো আর হবে না। সেতো ভুলও বলতে পারে?
চাচার সাফ সাফ কথা, সেটা প্রমাণ করার দায়িত্ব কবি সুমন রহমানের। তার কবিতার যে নিজের স্টাইল আছে - অন্যের কবিতার স্টাইল তার কবিতায় না- সেটা প্রমাণের দায়িত্ব তার। তা না করে তিনি সমালোচনা সহ্য করতে পারছেন না।
যারা তার মতের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন তাদের নাম ধমাধম করে তার ফেন্ডস লিস্ট থেকে কেটে দিচ্ছেন। তারিক টুকু, কালো কালি দাশের নাম কেটেছেন। আরো অনেকের কেটেছেন। এটা তো ঠিক নয়! তর্কের জায়গাটা খোলা রাখতে হবে। এটা বন্ধ করা অন্যায়- স্বেচ্চাচারিতা।
এটা কি হিটলারি ফিলোসফি? এটা তো সভ্যতা নয়! অভিযোগকে অপ্রমাণের দায়িত্ব নিতে হবে অভিযুক্তকেই। এটাই সততা।
- তাহলে সুমন সুমন রহমান কি অসততা করেছেন?
-কেন নয়? উনি তো একবার সাজ্জাদ শরীফের বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কবিতা সংকলনে তার নিজের কবিতা নেই দেখে গোস্বা করলেন। যাদের কবিতা আছে তাদের কাছে জানতে চাইলেন, কিভাবে তাদের কবিতা গেল। আবার যখন প্রগতিবাদিরা সাজ্জাদ শরীফের গোষ্ঠীবাজির সমালোচনা করলেন, তখন কিন্তু দলের জন্য তার দরদ উথলে উঠল।
সাজ্জাদ শরীফকে রক্ষার জন্য বলে উঠলেন, না, না সাজ্জাদ শরীফ ঠিক কাজটিই করেছেন। আবার অন্য নোটে সাজ্জাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ করলেন। তালিকা দিলেন সাজ্জাদ কি কি ভুল করেছেন। এইগুলা কি? ভণ্ডামিা নয়? প্রতারণা নয়? অসততা নয়?
- উনি তো বেশ পড়াশোনা জানাওয়ালা লোক। তরক বিতরকে অংশ নেন।
- রাখ তোর পড়াশোনা। ওরা হল জ্ঞানপাপী। ভুয়া পণ্ডিত। সিউডো ফিলোসফারের গুষ্ঠিতে নাম লেখাইয়া সব খুয়াইয়া বইছে। গুষ্ঠিবাজি করে করে ওদের মাথা ঠিক নাই।
কাজল চাচা রাগে গজ গজ করতে করতে সুমনের তর্কের নোট, কবিতার প্রিন্টগুলো ছিড়ে টয়লেট বক্সে ফেলে দিলেন। বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেন। আমি হা করে চেয়ে রইলাম। কিছু ঢুকল না আমার মাথার মধ্যে।
২.
তামান্না বলল, শোন তোর এইসব জটিল কথাবার্তা বোঝার দরকার নেই।
একটা গল্প শোন। গল্পটা একটু হট বা সেকসি। মৌসুমি আন্টি আম্মুকে শোনচ্ছিল সেদিন, আমি শুনে ফিলেছিলাম।
হট বা সেকসি গল্প-------------------------
এক ছেলের নাম হিমু। সে হলুদ পাঞ্জাবি পরে ঘুরে বেড়ায়।
তার সখ হল ছিপ পেতে মাছ ধরা।
একবার দেশে ভয়ানক খরা হল। খাল-বিল-নদী-নালা-পুকুর-ডোবা সব শুকিয়ে গেল। মাছ ধরার জল নাই। হিমু কিন্তু শুকনো পুকুরে ছিপ পেতে বসে রইল সারাদিন।
লোকজন ধরে তাকে একদিন বাসায় দিয়ে গেল। ওর বাবাকে বলল, আপনার ছেলের মাথা ঠিক নাই। পাগল হয়ে গেছে।
বাবা আর কি করেন। ওকে পাবনায় মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে দিলেন।
২/৩ বছর সেখানে চিকিৎসা চলল হিমুর। ডাক্তারা যা বলেছে হিমু তাই করেছে। ডাক্তাররা মনে করলেন, হিমু এবার সম্পূর্ণ সুস্থ। ওকে ছেড়ে দেওয়া যায়। ছেড়ে দেওয়ার আগে একজন সাইকোথেরাপিষ্ট হিমুর ফাইনাল চেকআপ করলেন।
সাইকোথেরাপিষ্ট বলরলন, হেমু, তুমি এখন সুস্থ। তোমাকে ছেড়ে দেওয়া হলে তুমি কি করবে?
হিমু চটপট উত্তর দিল, কেন, বাড়ি যাব।
- গুড। খুশি হলেন সাইকোথেরাপিষ্ট। বাড়ি যেয়ে কি করবে?
-আমার বাণ্ধবী মায়াকে ফোন করব।
- তারপর?
- মায়াকে আমার বাসায় আসতে বলব।
-তারপর?
ও এলে ওকে ঘরে নিয়ে ঘরের দরোজা আটকে দেবো।
সাইকোথরাপিষ্ট খুব খুশি হচ্ছেন। এইতো সুস্থ যুবকের মতো কথা। বললেন, তারপর?
- ওর কাপড় খুলব।
- তারপর?
-এর ব্লাউজ খুলব।
-তারপর?
-ওর পেটিকোট খুলব।
এইবার সাইকোথেরাপিষ্ট আরও খুশি ও উত্তেজিত হয়ে বললেন, তারপর, তারপর?
-ওর পেটিকোটে যে দড়িটা দিয়ে গিট দেয় সেটা খুলে ফেলব। সেই দড়িটা একটা ছিপে বেঁধে মাছ ধরব।
আমি হাসতে হাসতে বললাম, তামাননা এই গল্পটিার অর্থ কি?
- তামাননা জবাব দিল, হিমু আগে ছিল পাগল।
পাগলা গারদে যাইয়া হইসে বদ্ধ বদ পাগল।
৩.
তামাননা কি সব বলে। ওর মুখে কিছু আটকায় না। অনেকদিন অস্ট্রেলিয়ায় ছিল তো ওরা। এ মা! আমার কিন্তু খুব শরম লাগছে।
আপনাদের?
৪.
একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করছি। এইটা ১০০%মৌলিক কবিতা। নন্দনিকতায় ভরপুর। এবং কোন রাজনৈতিক দায় নেই এবং আশি পরবর্তী একটি দুর্মর কবিতা। আশা করি বোদ্ধাজনেরা বাংলা কবিতা সংকলনে ইনক্লুসিভ তত্বে ইহাকে অন্ন্তর্ভুক্ত করতে ভুল করবেন না।
এবং হে খোদা কাজল চাচার চোখে যেন না পড়ে। আমেন।
তোমার আমার মিল
করে ঝিলমিল
মাথা ভর্তি পচা গোবর
করছে কিলবিল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।