মেয়েটার বাবা মা অনেক ছোট বেলায় মারা গেছেন। অনেক ভাই বোনের সবার ছোট সে। বড় ভাইর বাড়িতে থেকে স্কুলে পড়ত। দশম শ্রেণীতে উঠার পর আর বন্ধুরা সব স্কুল ফ্যাইনাল দিয়ে কলেজে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে মেয়েটির সে সময় বিয়ে হয়ে গেলো। তার আর পরীক্ষা দেয়া হলো না।
যে লোকটিকে সে কোনদিন দেখেনি, যে দেশেই থাকে না তেমনি একটি লোকের সাথে তার বিয়ে হলো। সপ্তাহ খানেক স্বামীর সাথে ভাইয়ের বাড়িতেই কাটল বিবাহিত জীবন। তারপর স্বামী নামক লোকটি চলে গেলো বিদেশে। আর বিবাহিত নাম নিয়ে অবিবাহিতর জীবনে সেই আগের মতই ভাইয়ের বাড়িতে কেটে গেলো মেয়েটির বাকি জীবন। পরিবর্তন একটাই ওর জীবনে ও এখন বিবাহিত।
তাই আগের থেকে অনেক কিছু করা যাবে না আর। বদলে গেলো জীবনের এক বিশাল অবয়ব অথচ সব কিছুই চলল আগের মতন।
স্বামী নামক লোকটি কোনদিন ওর খবর নেয়নি। ভাবতে খুব অবাক লাগে লোকটার কী প্রয়োজন ছিল ঐ মেয়েটিকে বিয়ে করার। একাকী এক জীবনের বোঝা বয়ে চলল সারা জীবন।
ওর আর বিয়ে হয়নি কারণ ভদ্রলোকের মেয়েদের একবারই বিয়ে হয়। পরিবারের সম্মান অনেক বড় একটি মেয়ের জীবনের চেয়ে, এটাই নিয়ম। এই ভাবে নিময়ের বলি হয়ে কাটে কত নারীর জীবন।
এই নিয়ম কী থেমে গেছে এখন এই দু হাজার চৌদ্দোয়। মেয়েরা কী পুরো স্বাধীন এখন? সময় এবং পরিস্থিতির জন্য কিছু নারী হয় তো স্বাধীনতা ভোগ করে পৃথিবী জুড়ে।
অপর পক্ষে বেশীর ভাগ নারীই এখনও নানা রকম শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক, সামাজিক নিয়মের কষাঘাতে জর্জরিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।