ঢেকে রেখো হিংস্র ঢাল তলোয়ার। সৈনিক, এবার কলম চালাও...
নারী। ..তবুও তোমাকে জাগাতে আমি প্রতিনিয়ত জেগে থাকি।
আজকাল, একাল বা সেকাল যে কালকেই বলা হোক না কেন সবকালেই যে বিয়ে প্রথা ছিল তা কিন্তু নয়। তবে সেকালের বিয়ে এবং একালের বিয়ের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পাথক্য।
আপাত দৃষ্টিতে কেন জানি আমরা খালি চোখে দেখিনা। সত্যি? হ্যা, তবে শুধূ গন্ধটা খুজে পাই। তাহলে আসুন আমরা একটি হাই পাওয়ারের চশমা পড়ি।
সুপ্তি।
তাঁর বাবার একমাত্র মেয়ে।
স্বভাবে চপল চঞ্চল হলেও সে সেকালের দাসত্ব নামক বাক্সে বন্ধি। প্রতিনিয়ত সে নিজেকে আবিস্কার করে কে বা কারা তাকে যেন বলছে সুপ্তি তুমি মানুষ না, তুমি মেয়ে এবং এ বাক্স বন্ধিটাই তোমার সকল শূভ। সুপ্তি দেখতে পায় তাকে কে দাসত্বে বন্ধি রেখেছে। কিন্তু বলতে পারে না। তাহলে কি সুপ্তি কথা বলতে পারেন না?তবে সুপ্তিকে বলব-সুপ্তি বোন আমার তুমি কাগজ কলমের সাহায্য নিতে পারো।
সুপ্তির বয়স যখন -16। তখন সে নিজেকে বলল- হে সুপ্তি তুমি তোমাকে সুভাবে সুপ্রতিষ্টিত করার স্বপ্ন দেখ। অঙ্গিকার কর। সুপ্তি দরজা বন্ধ করে শপথ নিতে চায়। তৎসময়ে দায়িত্ববান অভিভাবক সুপ্তিকে বলে তুমি বড় হয়েছো।
ঘর সংসার করার চিন্তা ভাবনা কর। বড় হওয়াটাই যদি সুপ্তিরে প্রধান অন্তরায় হয় তবে আইনস্টাইনদের বলব- তোমরা সুপ্তির জন্য একটি বয়স কমানোর যন্ত্র আবিস্কার করো।
আজ?
আজ সুপ্তি একজন বিবাহিতা স্ত্রী। রক্ষণশীল একটি পরিবারে তার সমগ্র পরিসর। সকাল থেকে সন্ধ্যা সারাক্ষণ তাকে মনে রাখতে হয় সময় এবং দায়িত্ব।
নিরবে নিরবে যখন অন্যান্য সুপ্তিরা রং্গ মঞ্চে নিজেকে সাজায় তখন সুপ্তিও এরকম একটা কিছু করতে চায়। কিন্তু পারেনা। কেন পারে না?হয়তো তাকে পারতে দেওয়া হয়না। তবে বোন সুপ্তিকে বলব তুমি নিজেই একটি রং্গ মঞ্চ তেরী কর।
কে বা কার কাছ থেকে সুপ্তি একদিন শুনতে পেল যে, সেও একজন মানষি।
সুপ্তি বিশ্বাস করতে পারলো না। শুধু মুচকী হাসল। কি লোকানো আছে সেই হাসিতে? সোজা ভাষায় বললে হবে ধিক্কার। কাদের? সুপ্তি প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ। সুপ্তি তুমি ভয় পাচ্ছ? আমি আছিনা! সুপ্তি এবার মুখ খোললো-আপনি আছেন বলেই তো আমার ভয়।
আমি লজ্জায় মুখটা লাল করে বললাম তবুও তুমি এগিয়ে চলো।
সুপ্তি কে অনেক কিছু বলে ফেললাম। সে যদি এটাকে উপদেশ মনে করে তাহলে কিন্তু আমি আমাকে স্বাথক মনে করব না। কারণ উপদেশ দাতার চেয়ে উপদেশ গ্রহিতার সংখ্যা আজ বড় বেশি। আজকাল সুপ্তিকে তেমন বেশি কথা বলতে দেখি না।
তবে শুনেছি কথায় কথায় তাকে স্যরি কথাটি বলতে হয়। এমন একটা সময় ছিল যখন প্রহার জিনিসটাকে স্যরি শব্দটার চেয়ে শুভ মনে করত। একদিন রাস্তায় হাঠতে গিযে অন্য মনস্কতার ফলাফলে একজনের গায়ে ধাক্কা লাগলে সুপ্তি প্রথম স্যরি শব্দটি উচ্চারন করল। বেচারা পথিক হাসিমুখে ইটস ওকে বলে চলে গেল। সে থেকে সুপ্তি স্যরি বলে।
কিন্তু এখন আর কেউ তাকে ইটস ওক বলে না। বলে বিটস ওকে। তবে কেন এমন হলো সুপ্তির?
বিয়ে কথাটিকে যদি রক্ষণশীল পরিবারের মধ্যেই সীমিত রাখা হয়। তাহলে আমি বলব আমরা পুরুষেরিই এর প্রধান রক্ষক। এ কথাটি পড়া কিংবা শুনা মাত্রই একশ্রেনীর মাথাওয়ালা পুরুষ আমাকে সাধূবাদও জানাতে পারেন।
কিন্তু কারো নিন্দা বা সাধুবাদ আমি চাইনা। আমি চাই সুপ্তির সুপ্ত প্রাপ্তিকে প্রাধান্য দিতে। এবং ইচ্ছা করলেই আমি তা পারি। তবে ইচ্ছেটা কেন করছি না। এ প্রশ্নটা আমার না।
বোন সুপ্তির প্রশ্ন।
নগর কেন্দ্রীক এ পরিবেশে সুপ্তিকে তেমন বেশী দেখা যায়না। তাহলে কি সুপ্তি নিজেকে আড়াল করে চলে?না। তাকে এড়িয়ে চলতে হয়। রবীন্দ্রনাথের হৈমন্তী গল্পে পড়েছি হৈমন্তীর প্রতি সমাজের হীনমন্যতা।
কিন্তু কি শিখেছি? কিছুই শিখতে পারিনি না বলে বরং বলব সেই সমাজের বৈশিষ্ট্য কিন্তু ঠিকই রপ্ত করেছি। আসলে রবীবাবুর হৈমন্তী গল্প লেখার এই কি উদ্দ্যেশ্য ছিল?হয়তো না। আমার এ আর্টিকেল লেখাটির উদ্দ্যেশ্যও তেমন না।
একশ্রেনীর মানবী আজ ভুলে যায়, যে তারা আজ আর স্ত্রী নয়। তারা অর্ধাঙ্গী।
তবুও কেন তারা নিজেদের অধিকার আদায় করে নিচ্ছেনা। হ্যা আমি স্বীকার করি তারা তাদের দাবি আদায়ে এগিয়ে যাচ্ছে। পাঠিগণিতের সেই বানরের মত লাফ দিয়ে তিন হাত উপরে উঠে আর দু’হাত নিচে নামে।
আপনি আমার বাপ। আপনি আমার ভাই।
আমার সর্বনাশ করবেন না। হঠাত পাশের ঘর থেকে সুপ্তির কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম। তারপর কি হয়েছে আমি দেখতে পেলাম না। তবে কি হযেছে তা বুঝতে আমার কোন সমস্যা হয়নি। সুপ্তিকে আমাদের পুরুষেরই কউ সর্বনাশ করতে যাচ্ছে।
করছে। যেখানে আমাদের সহধর্মীনিদের অর্ধেক অধিকার আদায় করার দায়িত্ব আমাদের । সেখানে আমরা পুরুষেরা ধর্ষন করছি সুপ্তিকে। এ লজ্জা কোথায় রাখি?
সুপ্তি বলল এটাই কি আমাদের পাওনা?
আমি সুপ্তিদের সব ধরণের প্রশ্নের উত্তর দিলেও এ প্রশ্নটির উত্তর দিতে পারছিনা। তবে সুপ্তি তুমি আমার উপর রাগ করনা।
আমি চেষ্টায় আছি তোমার এসব প্রশ্নের উত্তর দেবার। তবে তোমাকে আরো প্রশ্ন করতে হবে । প্রশ্ন করতে হবে পৌরুষত্ব প্রদর্শনকারী কাপুরুষদের। হয়েতো একসময় এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে।
আমি পুরুষ হয়ে সমগ্র পুরুষ জাতিকে কলংকিত করলাম।
কিন্তু পুরুষ পরিচয় নিয়ে কতটুকু ঘৃনার মধ্যে দিয়ে গেলে একজন পুরুষ স্বজাতিকে নিয়ে এরকম বিরূপ মন্তব্য করে তা হয়তো কেউ জানেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।