আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাজের সাথে ঘুম এবং আমার অস্ট্রিয়ান সহকর্মী!

সহজ আলোয় দেখা...

অফিসে কাজের ফাঁকে ছোট-খাটো একটা পাওয়ার ন্যাপ দেয়ার অনেক উপকার আছে। গবেষণায় দেখা গেছে এটা এমপ্লয়িদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। বিছানা-বালিশ না থাকলে টেবিলের ওপর দু'হাত ভাঁজ করে উটপাখি স্টাইলে মাথা গুঁজে ১০-১৫ মিনিটের নিদ্রা! এভাবে ঘুমানোর সুবিধার জন্যে বাজারে "অস্ট্রিচ পিলো" বা "উটপাখি বালিশ" ও পাওয়া যায়। যতদূর জানা যায় এর বেচা-বিক্রিও মন্দ নয়।

সহকর্মীদের পাওয়ার ন্যাপের নানামুখী উপকারিতার বিবরণ দেয়ার কারণে অনেকেই এটা নেয়া শুরু করলো।

এর মধ্যে আমার জনৈক অস্ট্রিয়ান সহকর্মী যে কারণেই হোক অস্ট্রিচ স্টাইলে না ঘুমিয়ে মনুষ্য স্টাইলে চেয়ারে হেলান দিয়ে কোন এক উদাসী দুপুরে সুখের ঘুম দিল। আর সেটা কতটা সুখের কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা টের পাওয়া শুরু করলাম।

প্রথমে খুবই নীচু মাত্রায়, কান ভালো করে না পাতলে শোনা যায় না, কিন্তু তার নাক ডাকার শব্দ ক্রমেই বাড়তে থাকলো। মাত্র কয়েক সেকেন্ডে সেই শব্দ এতো ভয়াবহ হয়ে উঠলো সেই সহকর্মীর রুমতো বটেই, পুরো অফিস গম গম করে উঠলো। পাশের রুমে গুরুত্বপূর্ণ ক্লায়েণ্ট মিটিং চলছিল।

বেচারা ক্লায়েণ্ট পুরোপুরি ভড়কে গেল। পরে সে বলেছে শব্দটা তার কাছে নরখাদকের ভোজন পর্বের মতো মনে হচ্ছিল! আর একটু হলে তার হার্ট এটাকের মতো হয়ে যাচ্ছিল!

আমরা সাথে থাকা সহকর্মীরা বিদ্যুৎ বেগে তার ঘুম ভাঙ্গালাম। এরপর থেকে সেই সহকর্মীটি যেন কিছুতেই না ঘুমিয়ে যায়, বিশেষ করে যখন অফিসে ক্লায়েন্ট ভিজিট থাকে, সে জন্যে তার আশপাশের সহকর্মীরা পালা দিয়ে তাকে পাহারা দিতে থাকে! কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে তাকে চা-কফি সাপ্লাই দেয়।

এরপর থেকে পাওয়ার ন্যাপের উপকারিতা নিয়ে কিছু বলার আগ্রহ পাই না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.