আমি সাধারণ একটা ছেলে। সব সময় সোজা পথে চলার চেষ্টা করি। তবে কঠোরতার সময় কঠোর। অন্যায় দেখলে সহ্য করতে পারি না। প্রতিবাদ যেন আমার নিত্যে দিনের সঙ্গী।
আর অন্যায় কারির সাথে কখনো আপোস করি না কিংবা করতে মন সাহায্যে করে না। শুধু প্রাণ ভরে ঘৃণা করি এবং সে সকল মান
জমকালো আনন্দ উৎসব নানান হতাশার জন্ম দিয়ে অনুষ্টিত হল প্রাণহীন বিসিবি সেলিব্রেশন কনসার্ট ২০১৪ । অনেক আশা নিয়ে অনুষ্টান দেখা শুরু করেছিলাম কিন্তু আইয়ুব বাচ্চুর কথা গুলা শোনার পর আর দেখা হয় নি। আগ্রহ হারিয়ে হাতাশা বরণ করে অনুষ্টান দেখায় বন্ধ করে দিলাম। সাড়ে ৪ ঘন্টার অনুষ্টানে আমাদের স্বাগতিক দেশের শিল্পীরা পারফর্ম করেছেন মাত্র ১ ঘন্টা।
নানান অভিযোগ আর অবেহেলায় গতকালের বিসিবি সেলিব্রেশন কনসার্ট কলঙ্কময় একটি দিন বরণ করল বাংলাদেশ। স্টেডিয়ামে বলতে গেলে পুরায় প্রাণহীন। হাজার পাঁচেক দর্শক, কেউ করতালি দিয়ে স্বাগতিক শিল্পীদের উৎসাহ প্রদান করেন নি। একেতে দিনের আলো, দিনের বেলা বলে তাদের উপস্থাপনা ছিল নিতান্তই বর্ণহীন। আলোর সজ্জা তো নাই বললেই চলে।
আর এই অল্প সময়ের মাঝে কতটুকুই বা বিনোদন দেওয়া যায় সেটাও দেখার বিষয়।
তাইতো অভিমানি বাচ্চু ভাই বলেই দিলেন মনে কথা। তাপ্পর বসিয়ে দিলেন সমগ্র জাতিকে।
"আপনারা যারা বাংলা গান শুনছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের হাত না চলুক, চোখ আর কান তো খোলা আছে? এতেই চলবে, হাততালি এখন খরচ করে লাভ নেই,এটা পরের জন্য রেখে দিন, চোখ কান খোলা আছে এটাই যথেষ্ট, আপনারা ধৈর্য ধরে বাংলা গান শুনছেন, তার জন্য অনেক ধন্যবাদ, আর একটি গান গাইবো কেবল"
সব টুকু অপমান যেন নিজের দেশেই গ্রহন করতে হয়েছিল এই তারকা গুলাকে।
ভিনদেশে হলে মার্মাহত হবার কোন কারন নাই। কিন্তু নিজের দেশ, নিজের মাঠিতে এমনি এক দিন যাবে সেটা কখনোই কল্পনাতেও চিন্তুা করেন নি।
যে কারনে স্বাগতিকরা মর্মাহত পাশাপাশি হতাশাগ্রস্থ-
● স্বাগতিকদের মেইন কোন সাউন্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হয় নি আলাদা আলাদা সাউন্ড দেওয়া হয়েছে তাদের।
● দুইটা গ্রীন রুম অথচ স্বাগতিক শিল্পীদের গ্রীন রুম ব্যবহার করতে দেওয়া হয় নি।
● স্টেজে উঠে তাদের রিহার্সাল করতে দেয়নি।
● মাইলস বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় ব্যান্ড। তাদেরকে পারফর্ম করতে দেওয়া হয় নি।
এবার আসা যাক মুল বিষয়ে-
ধরুণ আজকের এই অনুষ্টানের আযোজক ভারত। দেশীয় শিল্পীদের পাশাপাশি বিদেশ থেকে নামি দামি শিল্পীদের আনা হল অনুষ্টানে। মাইকে ঘোষণা করার সময় বড় গলায় ঘোষনা করবেন কিন্তু তাদের স্বাগতিক দেশের শিল্পীদের।
সুনামটা আগে করবেন স্বাগতিকদের । বিদেশীদের ও করবেন কিন্তু তাদের স্বাগতিকদের চাইতে হয়তো এতটুকু বেশিও নয়। আর আমরা এতটায় পরখাউয়া জাতি নিজের দেশের , নিজের মানুষদের তুচ্চ করতে দ্বিধা করি না। আমরা যদি আমাদের সম্মান করতে না জানি তাহলে অনান্যে দেশের মানুষ আমাদের সম্মান করতে যাবে কোন দুঃখে।
কেন আমরাও তো পারি অনান্যে দেশের মত আমাদের দেশকে বিশ্ব পরিমন্ডলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে।
আমাদের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার ভাল একটা সুযোগ হাত ছাড়া করলাম। যেখাবে বিশ্ব দেখবে আমাদের সেখানে ভিনদেশী দের দিয়ে নাচানাচি করতেছি। গতকাল তো ভারতের একজন টুইট করে বসল ঠিক এভাবে-
" বাংলাদেশে এমনি দুর্ভাগা যে একটা বিশ্ব মানের অনুষ্টান করার ক্ষমতা রাখে না। ভারতীয় শিল্পীদের দিয়ে অনুষ্টান করাতে হয়। আমার তো সন্দেহ হয় কিভাবে তারা T20 বিশ্বকাপ পরিচালনা করবে "
এবার দেখুন কতটা হেও করল আমাদের।
কথাগুলা শুনতে খারাপ লাগলেও কথা তো সত্যিই। যদি লজ্জা বলে কিছু থেকে থাকে আমাদের। যে কোন দেশের তাদের নিজেদের আলাদা আলাদা সংস্কৃতি আছে। তেমনি আমাদের দেশের সংস্কৃতি গ্রাম-বাংলা, লালন, নজরুল আরো কত কি । আমাদের নিজেদের ঐতিহ্য আছে।
এগুলা দিয়ে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায় বাংলাদেশকে। যদি আমরা বিশ্বের দুয়ারের ধার প্রান্তে নিয়ে যেতে না পারি, তাহলে বাংলাদেশকে বিশ্ব জানবে কি করে ? আমাদের দেশ তাদের চাইতে কম কিসে। সবুজের সমারহ আর নদ-নদীর দেশ বাংলাদেশ। পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত আমাদের দেশে। সুন্দর বন আমাদের অহংকার।
সুযোগ বার বার আসেনা। যখনি আসে কাজে লাগাতে হয়। আর বাঙ্গালি এমনি জাতি, সুযোগ পেয়েও তা বিলেয়ে দেয় অন্যে দেশের মানুষকে। আমাদের এমনি পোরা কপাল, নিজেদের দেশে নিজেদের অপমানিত হতে হয়। এর চাইতে বড় দুঃখ আর কি হতে পারে !!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।