শনিবার ৮১ উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্যে সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে আমরা যে আশঙ্কা ও উদ্বেগের কথা বলে আসছিলাম, আজ সকালে তৃতীয় দফা নির্বাচনের শুরুতে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র দখলের যেসব খবরাখবর আমাদের কাছে আসছে, তা থেকে আমাদের ওই আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হল। ভোটকেন্দ্র দখলের মহোৎসব চলছে। ”
৪১ জেলার ৮১ উপজেলায় নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইতোমধ্যে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “সেনাবাহিনীকে উপজেলা নির্বাচনে স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হলেও তাদের ভোট কেন্দ্রে গোলোযোগ দমনে কোনো ক্ষমতা দেয়া হয়নি।
র্যাব-পুলিশ-প্রশাসনের কাছে সব ক্ষমতা। সেজন্য ওই প্রশাসন সরকারের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করছে। ”
রিজভী অভিযোগ করেন, ফেনীর দাগনভুঁইয়া, বরিশালের মুলাদী ও বাবুগঞ্জ, নড়াইলের লোহাগড়া, রাজশাহীর দুর্গাপুর, বাগেরহাটের সদর, মংলা, রামপাল, শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, যশোরের মনিরাপুর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, শরীয়তপুর সদর, পিরোজপুর সদর, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, কুড়িগ্রাম সদরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সে ভরছে।
বিরোধী দলের সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা, যে দলটি দুই পর্বের ভোটে ইতোমধ্যে জয়ের পাল্লা ভারী করেছে।
রিজভী বলেন, “গত দুই ধাপে উপজেলা নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখলের পরও জনগণ যখনি সুযোগ পেয়েছে, তখনি তারা সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে।
এবার এটা বুঝতে পেরে সরকার তৃতীয় দফা নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্র দখল করছে। ”
উপজেলা নির্বাচন চলাকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অবকাশ ছুটিতে বিদেশে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “সিইসি হাওয়া খেতে ঘুরে বেড়াবেন, সরকার ভোট কেন্দ্র দখল করবেন- এটাই তাদের দুরভিসন্ধি। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।