সাহিত্য বাজার সাহিত্য সম্মেলনে স্পন্সর পেতে সাহায্য চাই
। সদানন্দ সরকার।
আগামি ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল ময়মনসিংহের টাউন হল প্রাঙ্গনে সাহিত্য বাজার সাহিত্য সম্মেলন ও তিন দিনের বইমেলা আযোজনের বিষয়টি এখন চুড়ান্ত হয়েছে। সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর যদি দেশে থাকেন আর রাষ্ট্রিয় কোনো সমস্যা না থাকলে তিনি এই মেলার উদ্বোধন করবেন। কোনো কারণে তিনি যেতে না পারলে অধ্যাপক যতীন সরকার সাহিত্য সম্মেলন ও উৎসবের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন উৎসব সমন্বয়ক স্বাধীন চৌধুরী।
উৎসব তত্ত্বাবোধায়ক কবি ইয়াজদানী কোরায়শী জানিয়েছেন, বইমেলার উদ্বোধন বিষয়ে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান সম্মত হয়েছেন। তবে ময়মনসিংহের দুইজন গুনী ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক যতীন সরকার ও তারিক সালাউদ্দিন মাহমুদের একান্ত প্রত্যাশা সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও চ্যানেল আই-এর বার্তা প্রধান হৃদয়ে মাটি ও মানুষ খ্যাত শাইখ সিরাজ তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেবেন।
এদিকে ঢাকায় উপদেষ্টা পরিষদ সাহিত্য বাজার এএম জহুর সাহিত্য পদক ২০১৪ গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের প্রতি। সাহিত্য বাজারের প্রথম এই পদকটি তাঁর হাতে তুলে দিয়ে নিজেদের ধন্য করতে চান পত্রিকা সংশ্লিষ্টরা।
পদক ছাড়াও রয়েছে সাহিত্য বাজারের নিয়মিত লেখকদের সম্মাননা প্রদান।
সম্মাননা পাচ্ছেন কথা্সাহিত্যিক আতা সরকার, নাসরীন জাহান, কবি শামসুল ফয়েজ, কবি ওমর কায়সার, শিশুতোষ লেখক দীপঙ্কর চক্রবর্তী ও ফরিদুর রেজা সাগর, আবৃত্তিকার মীর বরকত ও সাহিত্য আলোচক আশীক চৌধুরী।
পৃথকভাবে শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সংবর্ধনা পাবেন অধ্যাপক যতীন সরকার ও তরিক সালাউদ্দিন মাহমুদ।
তিনদিনের উৎসবে চারটি বিষয়ে আলোচনা ও স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নিচ্ছেন ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের প্রায় ৫০০ কবি সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী।
রয়েছে শিশুতোষ নাটিকা, মঞ্চনাটক, আবৃত্তি ও সংঙ্গীত আয়োজন।
এতসব আযোজন উৎসবের ব্যয় প্রায় ৫ লাখ টাকা।
অথচ সম্পাদক আরিফ আহমেদ নিজেই খেতে পান না। কোনোরকম অনলাইনে সাহিত্য বাজার টা টিকিয়ে রেখেছেন। একেই বলে ধার করে ঘি খাওয়া আর কি।
সম্পূর্ণ স্পন্সরের উপর নির্ভর হয়ে কি কখনো উৎসব হয় না হয়েছে কোথাও।
“আমাদের দেশের স্পন্সরশীপ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কি এতো সহজে সাড়া দেবে? মামা-খালু নেতা নেত্রী থাকলে ভিন্ন কথা।
আরিফ আহমেদ, আপনার কে আছে?
যতদুর জানি বরিশালের অজপাড়া থেকে এসেছেন আপনি। সাংবাদিকতা করতেন, স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে এখন বেকার। শুধু সাহিত্য বাজার নিয়ে পরে আছেন। তা আপনার খুটির জোড় না থাকলে কেউ কি স্পন্সর দেবে?”
প্রশ্নগুলো অসংখ্যবার এসেছে। আজও করলেন প্রথম আলো ও ডেইলী স্টারে কর্মরত দুই সহকর্মী বন্ধু।
ভোরের কাগজের কিশোরতো রীতিমত গালাগালই দিলেন। আর কালেরকণ্ঠের নওশাদতো ভীষণ ক্ষুব্দ।
তবুও আরিফ আহমেদ বলেন, সাহিত্য বাজারের ২০১২তে দেয়া ঘোষণা এটা। ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব ময়মনসিংহে হবে এবং আমি এটা করবোই করবো বন্ধুরা। দরকার হলে তিনদিনের পরিবর্তে একদিনের উৎসব হবে।
পদক ও সম্মাননায় নগদ অর্থ দিতে চেয়েছি। স্পন্সর কেউ না এলে অর্থটা দেবনা। ক্ষমা চেয়ে নেব। তবে সম্মান আর ভালবাসা দেবার ক্ষমতা অনেক আছে। ক্রেস্ট আর দুহাতে জড়িয়ে, পদধুলি নিয়ে ভালবাসা জানাবো।
বন্ধুরা যদি পারেন, কেউ স্পন্সর পেতে সাহায্য করুন। আপনাদের একটা ছোট নিউজ হয়ত আমাদের স্পন্সরওয়ালাদের আগ্রহী করে তুলবে। ’
এভাবেই সত্যটা স্বীকার করলেন আরিফ। হাঃ সাহিত্য বাজারতো আসলেই কোনো ভণ্ডামী করছে না। সত্যিকারের সাহিত্য ও সাংস্কৃতির চর্চার চেষ্টায় যোগ্য লোকদের সম্মাননা ও সম্মান প্রদর্শন করতে যাচ্ছে সাহিত্য বাজার।
তাদের এই বাছাই নিয়ে কি কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেন?
তাহলে কেন এমন সুন্দর একটি আয়োজন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোর সাহায্য পাবে না? তাহলে ঐ সব মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান সাহিত্য সংস্কৃতির সেবা খাতে যে অর্থ ব্যয় করছে তা কাদের জন্য?।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।