আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভুয়া চেকে জনতা ব্যাংক থেকে খোয়া গেল ১৩ লাখ টাকা

দুটি ভুয়া চেকে দুই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৩ লাখ টাকা ময়মনসিংহের গৌরীপুর জনতা ব্যাংকের শাখা থেকে খোয়া যাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে ওই দুটি অ্যাকাউন্টে এ টাকা অন্তর্ভুক্ত করলেও গতকাল দিনভর এ নিয়ে চলছে তুলকালাম। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ নিয়ে লুকোচুরি করছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে বৃহস্পতিবার তদন্ত টিম ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন জনতা ব্যাংকের ময়মনসিংহ জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. নাজিম উদ্দিন। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার উপজেলার হিম্মতনগর এলাকার দুই বাসিন্দা আবুল কালাম ও মো. কামাল নামে দুই ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব থেকে কে বা কারা ভুয়া দুটি চেকের মাধ্যমে প্রায় ১৩ লাখ টাকা উঠিয়ে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লেনদেনের হিসাব মেলাতে গিয়ে এ বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার লুৎফুর রহমানসহ ক্যাশ সেকশনের কর্মকর্তারা প্রায় ১৩ লাখ টাকা ম্যানেজ করে ওই দুটি অ্যাকাউন্টে অন্তর্ভুক্ত করেন। সংশ্লিষ্ট শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওইদিন এ বিষয়টি চেপে গেলেও গতকাল সকাল থেকে এ নিয়ে ব্যাংকের ভেতরেই নানা কানাঘুষা শুরু হয়। এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের গৌরীপুর শাখার সহকারী ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, 'দুটি ফলস চেকের মাধ্যমে মঙ্গলবার কে বা কারা এ টাকা তুলে নিয়ে যায়। পরে ধার করে খোয়া যাওয়া টাকা দুটি অ্যাকাউন্টে অ্যাডজাস্ট করা হয়েছে।

' জনতা ব্যাংকের গৌরীপুর শাখার ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন জানান, 'লেনদেনে গরমিল হওয়ার পর ব্যাংকের ক্যাশ শাখার কর্মকর্তারা উধাও হওয়া সমুদয় টাকা মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যেই দুটি অ্যাকাউন্টে অ্যাডজাস্ট করে দিয়েছেন। এ নিয়ে এখন আর কোনো ঝামেলা নেই। ' ব্যাংকের টাকা কেলেঙ্কারির এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে জনতা ব্যাংকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় অফিসের জেনারেল ম্যানেজার মো. নাজিম উদ্দিন জানান, টাকা গরমিলের বিষয়টি আমি শুনেছি। বৃহস্পতিবার ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত টিম গৌরীপুরে যাবে। এ ব্যাপারে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হামিদুল ইসলাম জানান, এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.