পৃথিবীর সকল দেশের মানুষের নিজস্ব একটি জাতিগত সংষ্কৃতি থাকে। যা তারা নিজ চেতনায় ধরে রাখতে চায় যে কোন মূল্যে। ঐতিহাসিকভাবে আমাদেরও গর্ব করার মত নিজস্ব সংষ্কৃতি ছিল যা বর্তমানে মৃতপ্রায়, লাইফ সাপোর্ট নিয়ে কোনরকমে বেঁচে আছে।
চেতনাতে আমরা এখন আফ্রিকান মাগুর মাছের মত, “সামনে যা পাও, তাই খাও”। মূল্যবান খাদ্য খেয়ে বড় হওয়া একটি দেশী রুই মাছের কেজি- ৫০০ টাকা, আর আফ্রিকান মাগুর মাছ- ৩০ টাকা কেজিতেও অনেকেই কিনতে চায় না।
ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকরা যে কোন দিনকে একটি দিবস ঘোষণা করলেই, আমরা ঝাপিয়ে পড়ি তা উদযাপনে। মা দিবস, বাবা দিবস, প্রেম দিবস (ভ্যালেন্টাইন ডে) এহেন আরো অনেক দিবস।
ওদের একটি দিনকে দিবস ঘোষণা করতে দেরি, আমাদের খেতে দেরি নেই। একেই বলে আফ্রিকান মাগুর মাছের চেতনা। অনেকেই আবার এই মাগুর মাছটিকে ঘৃণা ভরে বলে, “আফ্রিকান মাংগুর মাছ”।
মুসলমানের শক্ররা ভবিষ্যতে চালু করবে আরো নতুন নতুন দিবস। আর সেগুলো হবে- বিশ্ব চুম্বন দিবস, বিশ্ব সঙ্গম দিবস আর সব শেষে বিশ্ব ধর্ষণ দিবস! আমরা আফ্রিকান মাংগুর মাছের চেতনাবিশিষ্ট তথাকথিত বাঙালী মুসলমানেরা হয়তো বা ঐ দিবস সমূহও উদযাপন করতে চেষ্টা করবে।
চেতনাতে ছাগল হতে আকৃতির প্রয়োজন হয়না, প্রয়োজন আচরণের। আচরণে আমরা ছাগলের চেয়ে কম কোথায়? এই মুহূর্তে আমরা যেই বিজাতীয় সংষ্কৃতিটি গ্রহণ করে চলেছি তা হচ্ছে ‘ফ্ল্যাশ মব’, জঘন্য রকম বেলেল্লাপনা। বিবেকবান মানুষ মাত্রেরই প্রশ্ন জাগে, আমাদের মাননীয় সংষ্কৃতি মন্ত্রী কোন উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের বাঙালী সংষ্কৃতিতে এসব আবর্জনা ঢুকিয়ে কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলেছেন??
কোথায় আমাদের সেই কাঙ্খিত নেতা, যিনি এই জাতির জন্য সত্যিকারের বাঙালী মুসলিম চেতনার উন্মেষ ঘটাবেন???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।