(লেখাটি প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য)
আজ জীবনের প্রথম এক অভিজ্ঞতা হল। আমার আমিকে একটু নিচে নামিয়ে জীবনের অন্যরকম একটা বোধ নিয়ে আসলাম। রহস্যময়, আবছা ধুপ-ছায়ায় ঢাকা একটি পৃথিবী আমার কাছে আজ যেন ওর রহস্যময়তা প্রকাশ করে দিল। ওখানকার পরিবেশ আমায় যেন অন্যরকম একটা শিক্ষা দিল। যে মানুষটি হয়ে আমি ওখানে গিয়েছিলাম, বের হওয়ার পর আমি যেন সেই মানুষটি নেই।
ওখানে হয়ত মানুষ নিজের গায়ে কালি মাখাতে যায়, কিন্তু ওখান থেকে বের হয়ে আমার মনে হল আমি যেন আমার সব কালি ওখানে দিয়ে আসলাম, একটা শুদ্ধ জীবন বোধ নিজের জন্য নিয়ে আসলাম।
আমার এক বন্ধুর সাথে পতিতালয়ে গিয়েছিলাম। ও ওসব জায়গায় যেতে অভ্যস্ত। আমার দেখার ইচ্ছে ছিল যে, মানুষ তার কাম কি করে নির্দিষ্ট একটা জায়গায় অর্থের বিনিময়ে চারিতার্থ করতে পারে। অর্থের বিনিময়ে ভালবাসা!!! ভালবাসা, নাকি অন্যকিছু??? মানুষের জৈবিক চাহিদা অর্থের বিনিময়ে চারিতার্থ করার নির্দিষ্ট একটা বাড়ি।
চারতলা একটা বিল্ডিং। নিচে মনিহারি দোকান, পানের দোকান, ছোট্ট একটা গলি দিয়ে উপরে ওঠার চাপা সিঁড়ি। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই উপরে কি হচ্ছে। আমার সাথে থাকা বন্ধুবরটি কয়েকবার এখানে এসেছে। ওর পিছু পিছু আমি সিঁড়ি ভাঙতে শুরু করলাম।
কিছু লোক উপর থেকে নিচে নামছিল। ওদের চোখেমুখে কি জানি একটু ভয়, একটু সংশয়, কিছু লজ্জা কিংবা কিছু অপরাধ বোধ ছিল। প্রথম ফ্লোরে দেখলাম কিছু লোক রিসেপ্টশনে বসে আছে। দেখলে মনে হয় পুরাতন কোন হোটেল তার প্রাচীন আভিজাত্য রক্ষার চেষ্টা করছে কিন্তু তার জড়াজীর্ণ, সাজসজ্জাহীন স্বাস্থ্য তাকে যেন বার বার তার দীনতাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
চারপাশে না তাকিয়ে আমরা দ্বিতীয় ফ্লোরে উঠে গেলাম।
সিঁড়ির কাছাকাছি নানা বয়সের কিছু লোক পাশাপাশি বসে থাকতে দেখলাম। কেউ বিদ্রুপ হাসি হাসছে, কেউ পান খাওয়া খয়েরি দাঁতের ফাঁকে সিগারেট ফুঁকছে। কেউ লুঙ্গি পড়া, কেউ শার্ট প্যান্ট পরা ভদ্রলোক। দুজনকে দেখলাম কমপ্লিট স্যুট পরে বসে আছে। আমি একটু দ্বিধায় পড়ে গেলাম।
এত্তসব পাঁচমিশালি লোক এখানে কি করছে? নানা বয়সের নানা লোক একসাথে একইরকম একটা নরকে কি করে আসতে পারে?
আমার সঙ্গীর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালে ও আমায় নিশ্চিত করে যে গন্তব্য ভুল হয়নি। আমরা সিঁড়ির পাশ দিয়ে একটা গলিতে ঢুকে পড়লাম। দু’পাশে সারি সারি ঘর সাজানো। দেখলে ঢাকা শহরের অনেক বস্তি ঘরের মত মনে হয় যেখানে লম্বা সারি করে আধাপাকা রুম থাকে। আমি ঘরের ভিতরে দেখার চেষ্টা করলাম।
আমার কৌতুহলী চোখ চারপাশের পরিবেশটাকে দেখছিল।
আমার সাথে থাকা অভ্যস্ত কামবাসনায় আসক্ত ছেলেটির চোখ তিন তিনটি তরুণী মেয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল। তিনটা রুমের দরজা খোলা। সামনে থাকা তিনজন লাস্যময়ী তরুণী, বয়স কুড়ি- বাইশের বেশি হবেনা। ছাড়া চুল, ঠোঁট রাঙানো, কালো জিন্স প্যান্টের সাথে কালো ফিট শর্ট কামিজ।
দেহ প্রদর্শন বেশ ভালোই। তিন জনের চোখেই কাছে টানার স্পষ্ট ইঙ্গিত। তিনজনের দালাল আপণ নামের একটা ছেলে। এই গ্যালারিটা নাকি VIP মেয়েদের। ভার্সিটি কলেজ পড়ুয়া মেয়েরা নাকি এখানে সার্ভিস দেয়।
আমার সঙ্গী দালাল ছেলেটার সাথে কথা বলল। ও একঘন্টা একটা মেয়ের সাথে কাটাতে চায়। দালাল (আপণ) বলল- “আপনি শটে যান, ঘন্টায় আপনার পোষাবে না, এক শটে যদি একঘন্টাও লাগে তাহলেও সময় নিয়ে প্রবলেম নাই”। শট মানে হল, একবার মেয়েটির কাছে যাওয়া। প্রতিবার ৬৫০ টাকা।
আর একঘন্টা থাকতে চাইলে ২৫০০ টাকা লাগবে। বন্ধুটি দর কষাকষি করতে চায়। দালাল বলল, “এখানে তো ভাই VIP মাল। এদের সার্ভিস ভালো। একবার এদের কাছে গেলে বারবার আসতে চাইবেন।
উপরে যান, উপরে Normal আছে। ওখানে একঘন্টা ৮০০ টাকায় থাকতে পারবেন। আর শট মাত্র ২৫০ টাকা। ”
আমরা দালাল আপণকে নিয়ে তৃতীয় তলায় গেলাম। একটা বাক্সের মত রুম, সামনের দিকটা কাঁচের ফ্রেমে ঢাকা।
পাশে কাঁচের দরজা দেয়া, মধ্যে ২০-২৫ টা মেয়ে হবে। বয়স বার থেকে চল্লিশ বছর পর্যন্ত হবে। দু’জন মহিলা, বেঢপ মোটা সাইজের, মুখে মেকআপের বাড়াবাড়ি, ঠোঁট রক্তলাল, চোখে কাজলের কালি মেখে বুকের আঁচল সরিয়ে বসেছিল। কিম্ভুতকিমাকার লাগছিল ওদের। মেয়েদের কেউ কেউ জিন্স, টি-শার্ট, কেউ স্যালোয়ার কামিজ পড়ে বসেছিল।
আর বাইরে একদল বিভিন্ন বয়সের মানুষ কাঁচের দেয়ালের বাইরে থেকে যেন চিড়িয়াখানার বন্ধী কিছু প্রানী দেখছে। কেউ কেউ দালালদের সাথে দর কষাকষি করছে। আমার বন্ধুবর ওখানে বেশিক্ষণ দাঁড়াল না। সোজা নিচে চলে আসল, সাথে দালাল আপণ।
লম্বা একটা VIP মেয়ে পছন্দ করল আমার বন্ধু।
দালালদের সাথে অনেক দর কষাকষি করে শেষ পর্যন্ত ১০০০ টাকায় ৩৫ মিনিট দফারফা হল। ওরা রুমে ঢুকল। আমাকে ও প্রথম ১০ মিনিট থাকতে বলল। বলল আমায় কিছু করতে হবেনা, আমি শুধু দেখব। কিন্তু আমার আমি আমার হাত টেনে বলল, “তুই যাসনে, নিজেকে নর্দমায় ফেলিস না।
একবার নর্দমায় পড়ে গেলে সারাজীবন এর দুর্গন্ধ তোকে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে। ” আমি নিজের আমিত্বের কাছে হার মানলাম। নিজেকে নর্দমায় ফেলার দুঃসাহস দেখাতে পারলাম না।
ওদের রুমের মধ্যে দিয়ে আমি দালাল ছেলেটার সাথে কথা বলতে লাগলাম। আপণ আমায় অন্য একটা রুমে নিয়ে বসাল, আমাকে চা- সিগারেট দিতে চাইল।
আমি বিনয়ে প্রত্যাখ্যান করলাম। ও আমায় অপেক্ষায় রেখে বাইরে চলে গেল।
হোটেলের সিঙ্গেল রুমের মত রুম। সুসজ্জিত রুম, একটা খাট, পাশে সোফা, ড্রেসিং টেবিল। সাথে Attached Bathroom. সব মিলিয়ে বেশ ভালই।
ওখানে মিনিট পাঁচেক থাকার পর ভাবলাম চারপাশটা ঘুরে দেখি, এখানকার সব কিছু একটু ভালোভাবে দেখি।
আমি উপরের তলায় মেয়েদের বাক্সের কাছে চলে আসি। কাঁচের দেয়ালের বিপরীতে একটা দেয়ালে হেলান দিয়ে দাড়াই। আমি আর কাঁচের দেয়ালের মাঝে দুই-আড়াই হাত ব্যবধান। পাশে নানা বয়সী অনেক লোক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল মেয়েরুপী প্রাণীগুলোকে।
কেউ কেউ আবার অশ্লীল ইঙ্গিত করছিল ওদের দিকে। আমি যে দেয়ালে হেলান দিয়ে আছি ঐ দেয়াল ঘেষে পর পর বেশ কয়েকটা রুম। পাশে বেশ কয়েকজন দালাল দাঁড়ানো। ওরা ওদের মত ওদের ভাষায় আড্ডা দিচ্ছে।
কাঁচের দেয়ালের মধ্যে মেয়েগুলোর সাথে একজন ছেলে বসেছিল।
দেখলাম ও খাতার মধ্যে সবার নামের পাশে কে কয়টা কাজ করেছে তা লিখছে। মাঝে মাঝে দু’একটা মেয়ের হাত ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে নিজের বুকের কাছে নিয়ে স্পর্শ সুখ নিচ্ছে।
একটা দালাল তার পাশে থাকা আর একটা দালালকে বলে, “কি হে, তোমার মালটার দেখছি বেশ কদর, একটার পর একটা সার্ভিস দিয়েই যাচ্ছে। ” কাজ শেষে মেয়েটা একটা রুম থেকে বের হয়। খদ্দের চলে গেছে।
মেয়েটা তার অবিন্যস্ত কাপড় ঠিক করতে থাকে। মেয়েটার দালাল ওর হাত ধরে সামনে এনে দাড় করিয়ে বলে, “কার কালেকশন দেখেতে হবে তো? কয়েকদিন আগে পেট বাধিয়ে Reject মাল হয়ে গিয়েছিল। শেষে পেট ছাফ করিয়ে আমিই আবার ফিট করে এনেছি। ”
আমি মেয়েটির মুখের দিকে তাকালাম। ওর মুখে একটুও লজ্জাবরণ নেই।
বরং একের পর এক কাস্টমার পায় এ জন্য ওর মধ্যে চাপা গর্ববোধ আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম।
আমি কাঁচের ঘরের দিকে মুখ ফেরালাম। অর্ন্তদৃষ্টি দিয়ে দেখতে চেষ্টা করলাম মেয়েগুলোকে। কয়েকটা বেঞ্চি আর সোফায় লাইন দিয়ে বসে আছে মেয়েগুলো। কেউ কেউ বসার ক্লান্তিতে দাঁড়িয়ে উঠে আড়মোড়া দিচ্ছে।
আমার একাগ্র দৃষ্টি ওদের দিকে দেখে দু’একটা মেয়ে নিজেদের ঠোঁট নিজেরা কামড়ে ধরেই যেন আমায় ইঙ্গিত দিল কাছে যাবার।
কিন্তু আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম যে, প্রত্যেকটা মেয়েই বুঝতে পারছে ওরা যে কাজ করছে সেটা ঠিক নয়। একটা অপরাধ বোধ ওদের চোখেমুখে স্পষ্ট। কেউ কেউ যেন চাপা কান্না লুকিয়ে রেখে সং সেজে বসে আছে। এখানকার সব মেয়েরা সুন্দর নয়।
কেউ কেউ ঘন্টার পর ঘন্টা বসে আছে খদ্দেরের অপেক্ষায়। নিজেদের সমস্ত সত্ত্বা, সমস্ত শরীর বিকুবে বলে বসে আছে ওরা। কিন্তু কামচিন্তায় অস্থির মানুষগুলোর হাতে নিজেদের সুন্দর করে সাজাতে পারেনি বলে অথবা স্রষ্টার সীমাবদ্ধ কৃপার জোড়ে ওরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে থাকে শরীর বিক্রির জন্য, কিন্তু কিছু শরীর অবিক্রিত থেকে যায়। ওদের চিন্তিত ভ্রু, সজল চোখ, পাপবোধে জর্জিত চাহনি ওদের অ-বলা কথাগুলো বলে দেয়। দেখলেই বোঝা যায় ওরা ইচ্ছের বিরুদ্ধে নিজেদের বিকুতে এসেছে।
একটু কালো- মোটা মেয়েটা যখন দেখে যে তার পাশে বসা সুশ্রী লিকলিকে মেয়েটা একটার পর একটা সার্ভিস দিচ্ছে আর নামের পাশের সংখ্যাটা বাড়িয়ে নিচ্ছে তখন ওর নিজের জন্য কষ্ট হয়, সৃষ্টিকর্তাকেও হয়ত ও অভিশাপ দিতে ছাড়েনা। ওর ইর্ষা চরম রুপ নিতে পারেনা, ওর হয়ত টাকার খুব বেশি প্রয়োজন। ও অপেক্ষা করতে থাকে কোন তৃষ্ণার্ত পুরুষের ডাকের।
সুশ্রী মেয়েদের একটার পর একটা খদ্দের। অপেক্ষাকৃত কম সুন্দরীদের অপেক্ষার প্রহর অনেক দীর্ঘ হয়।
ওদের করুন চাহনি দেখে আমার খুব খারাপ লাগতে শুরু করে। আমার যদি টাকা থাকত ওদের সব কয়টাকে ইচ্ছেমত টাকা দিয়ে জীবনের পথে ফিরিয়ে নিয়ে আসতাম। আমি নিশ্চিত এরা পেটের দায়ে এভাবে নিজেদের বিক্রি করছে। এদের করুণ চাহনি তাই বলছে।
আমি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি।
আমার ভাবনাগুলো ডালপালা ছাড়িয়ে বিস্তীর্ণ হতে থাকে। হঠাৎ আমার পাশেই একটা ছেলে খুব অল্প বয়সী একটা মেয়েকে জোর করে ধরে নিয়ে পাশের রুমে ডুকে যায়। মেয়েটা হাত ছাড়িয়ে বাইরে বের হওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে। স্বল্প স্বরে যেন একটু ক্রন্দন- চিৎকার করে ওঠে মেয়েটা। একটা দালাল এসে দরজায় টোকা দিয়ে ধমকের স্বরে বলে, “আশা, ও আমাদের স্টাফ, ওকে ফ্রি সার্ভিস দিয়ে দে।
”
আশা নিশ্চুপ। ওর আর কোন গোঙরানির শব্দ শুনতে পাইনি।
আমি আবার কাঁচের রুমের দিকে তাকাই। প্রত্যেকটা মেয়েকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি। আমার জিজ্ঞাসু চাহনি দেখে কোন কোন মেয়ে অস্থির হয়ে ওঠে।
কেউ হয়ত ভেবে বসল আমি গোয়েন্দা টাইপের লোক কিনা? প্রত্যেকটা মেয়েই অন্যসব মেয়ের মত। ওদের চোখ, চাহনি, আরও অন্যসব- বুক, বাহু, কোমর, তলপেট, সবই একই রকম। ওরা কি ভাগ্যের হাতে বন্ধি? স্বাভাবিক জীবনে আমরা কি ওদের ফিরিয়ে আনতে পারিনা?
অনেকগুলো প্রশ্ন আমার মাথার ভিতর দিয়ে বয়ে যায়। আমার বিবেক আমার মনুষ্যত্ববোধ আমার “আমি”কে বার বার আঘাত করে বিপর্যস্ত করে তোলে। আচ্ছা, আমরা এখানে যারা আসছি, তারা সবাই কি ওদের পণ্য হিসেবে দেখব? আমাদের লালসাকে স্থিমিত করে যদি মানুষের চোখে ওদের দিকে তাকাই আমাদের বিকেক কি আমাদের একটুও আঘাত করবে না?
নিষ্পাপ মেয়েগুলো, হয়ত অর্থের তাড়নায়, হয়ত ভুল করেই এখানে এসে নাম লিখিয়েছে।
কিন্তু এদের প্রত্যেকটা চোখ বলে, “তোমরা আমাকে যত খারাপ ভাবছ আমি তত খারাপ না। বিশ্বাস কর, এতে আমিও মানসিক শান্তি পাচ্ছি না। তবু আমি করছি, আমাকে করতে হচ্ছে। ”
ওদের মুখ দেখলেই বোঝা যায় ওদের মধ্যের নারী সত্ত্বাটা বারবার ওদের দংশন করছে। এই কাঁচ বন্দী মেয়েগুলোর কারও মুখে হাসি দেখলাম না।
বরং আমরা পুরুষরাই যেন কাঁচের বাইরে থেকে সুন্দর সাজানো পুতুল নিয়ে এক একটা রুমে ধুকে যাই নষ্ট ইচ্ছা, নষ্ট লালসা মেটানোর জন্য।
আমার মোবাইল বেজে ওঠে। আমার তৃষ্ণার্ত বন্ধুটির তৃপ্তির ঢেকুর তোলা কন্ঠস্বর শুনতে পেলাম। ওর কাজ শেষ, এখন বের হতে হবে।
আমি বাইরে এসে আকাশের দিকে তাকাই।
স্রষ্টাকে ধন্যবাদ দিলাম আমায় এরকম একটা অভিজ্ঞতা দেয়ার জন্য। মেয়েগুলোর জন্য খারাপ লাগছে। জীবন এমন কেন? মানুষ নিজের সম্ভ্রম কষ্টের নীলে শেষ হয়েই হারাতে আসে। আমরা ওদের সম্ভ্রম নিয়ে ওদের কিছু টাকা দেই যার ২৫% ওরা পায় । আমরা কি পারি না ওদের জন্য কিছু করতে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।