আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্যারেড মাঠের জনসমুদ্রে পতাকা হাতে প্রধানমন্ত্রী

বুধবার বেলা সাড়ে ১০টায় গাড়ি থেকে নেমে পতাকা হাতে ৯ সেক্টরে ব্লকের উত্তর দিকে নির্মিত মঞ্চে উপস্থিত হন। সেখান থেকেই জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলাবেন তিনি।
বেলা ১১টায় এই মাঠেই একসুরে তিন লাখ কণ্ঠ গেয়ে উঠবে ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’।
সকাল সাড়ে ৬টায় প্যারেড মাঠের ফটক খুলে দেয়ার আগেই নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে পায়ে হেঁটে এসে বাইরে জড়ো হতে থাকা নারা বয়সী নারী, পুরুষ, কিশোর।
বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, পোশাক ও পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতের কর্মীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ প্যারেড মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলাতে।


২০১৩ সালের ৬ মে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে গিনেজ বুকে স্থান করে নিয়েছিল সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার (ভারত)। ওই আয়োজনে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৫৩ জন অংশ নিয়েছিলেন।
জাতীয় প্যারেড ময়দানের জমায়েত সকাল ৮টা ২৩ মিনিটেই ওই সংখ্যা ছাড়িয়ে যায়। সকাল ৯টা ৩৮ মিনিটে মাঠে লোকসংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে যায়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা আরো বাড়ছে।


সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী যখন উপস্থিত হলেন, তখন মাঠে হাজির ২ লাখ ৩১ হাজার নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী। ১০টা ৫৫ মিনিটে প্রথম মহড়ায় অংশ নেয় ২ লাখ ৫১ হাজার মানুষ।
মাঠের প্রতিটি ফটকেই আগ্রহীদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে গুণে গুণে। শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে মাঠের ওই অংশটি ভাগ করা হয়েছে ১৫টি সেক্টরে।
সেখানে প্রত্যেককে একটি করে ক্যাপ ও ব্যাগ দেয়া হচ্ছে।

এই ব্যাগে জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও নিয়মাবলী লেখা সংবলিত একটি কার্ড, পানি, জুস, স্যালাইনসহ তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ওষুধ রয়েছে।
প্রতিটি সেক্টরে একটি করে বড় স্ক্রিনে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে মাঠের পরিস্থিতি ও লোকের সংখ্যা।
অনেকেই মাঠে এসেছেন গায়ে পতাকা জড়িয়ে, মাথায় পতাকার রঙের ব্যান্ডানা পরে।
৯ নম্বর সেক্টরের উত্তর দিকে প্রধানমন্ত্রীর, ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের জন্য করা হয়েছে মঞ্চ। তার দক্ষিণ দিকে সরকারের মন্ত্রী, সাংসদ, কূটনীতিকসহ অন্যরা রয়েছেন উল্টে দিকে সামিয়ানার নিচে।


অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চ রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চের উল্টো দিকে মাঠের অপর প্রান্তে।
মূলমঞ্চের পশ্চাদপট সাজানো হয়েছে মাঝখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে। ডান দিকে রয়েছে চার জাতীয় নেতা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছবি। আর বাম দিকে সাত বীর শ্রেষ্ঠ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি।
মূল পর্বের আগে সকাল ৮টা থেকে শিল্পকলা একাডেমীর পরিবেশনায় দেশবরেণ্য এবং খ্যাতনামা শিল্পীদের অংশগ্রহণে মাঠে শুরু হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

চূড়ান্ত জাতীয় সংগীত পরিবেশনের আগে পৌনে ১১টায় শুরু হয় অনুশীলন।
মাঠে প্রবেশের পর রাজধানীর নবাব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহাবুবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, “আমরা ক্লাসের সবাই এসেছি। আমার খুব ভাল লাগছে, আমিও সবার সঙ্গে জাতীয় সংগীত গাইব। ”
সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের ছাত্র হেলাল হোসেন বলেন, “আমরা এসেছি ইতিহাসের অংশ হতে। ”
অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.