অর্নিবাণ ভাইয়ের স্ট্যাটাসে পুরো জাতীয় সঙ্গীতটা দেখে স্কুলের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল ।
মোটামুটি লম্বা থাকায় সবসময় পিছনে দাঁড়াতে হত আমাকে । পিছে দাঁড়ানো মানেই বাঁদরামি । সেই বাঁদারামি থেকে বাদ যেত না জাতীয় সঙ্গীত । জাতীয় সঙ্গীত হয়ে যেত প্যারোডী সঙ্গীত ।
আমাদের গাওয়া প্যারোডী গানের চোটে হাসির রোল পড়ত প্যারেডে । ফলাফল : শরীরচর্চা শিক্ষকের হাতে বেদম প্রহার খেত ছাত্ররা । কিন্তু পালের গোদারা ধরা না খাওয়ায় প্রতিদিন চলত প্যারোডী সঙ্গীত ,কখনও চলত উদ্ভট ভাষায় ,কখনও কিঞ্চিত্ অশ্লীল । ।
প্যারেড নিয়ে আরেকটা স্মৃতি মনে পড়ে ।
তখন ক্লাস ওয়ানে পড়ি । স্কুলটা ছিল কমবাইন্ড । বেশ শীত পড়েছে তখন । মাথায় মাফলারটা ঘোমটার মতো করে কান ঢেকে স্কুলে পাঠিয়েছে আম্মু । ছোটবেলাতে আমি দেখতে কিছুটা সুন্দর ছিলাম ।
[নিজের প্রশংসা করছি না । গোপন একটা কথাও বলি , ছোটবেলায় আম্মু আমাকে বাচ্চা মেয়েদের নিমা পড়িয়ে রাখত] তো প্যারেডে যথারীতি সামনে দাঁড়িয়েছি । হঠাত্ এক বড় আপু এসে আমাকে বলল আপু তুমি ছেলেদের লাইনে ক্যানো ? ছোট হৈলেও মনের ভিতর আত্মসম্মান মাথাচাড়া দিয়ে উঠল । বললাম আপু আমি তো ঠিক লাইনে দাঁড়িয়েছি , আমি তো ছেলে । আমার কথা
শুনে কিছুক্ষণ বোকার মত তাকিয়ে থেকে ভুলটা বুঝে দ্রুত বিদায় নিলেন ।
আমি এখনও ভাবি আমার পড়নে ছিলো ফুল প্যান্ট আর শোয়েটার । সেটা দেখেও কেনো তিনি বুঝতে পারে নাই আমি ছেলে ? এরপর অনেক দিন আমি মাফলার পড়তাম না । এরপর পড়া শুরু করলেও মাথায় দিয়ে কান ঢাকি না । কানটুপি আনিনি অথচ ভীষণ ঠান্ডা বাতাস [আমার হালকা ঠান্ডা বাতাসে কান ব্যাথা করে তখন কিছুই শুনতে পাই না] তবুও মাফলার মাথায় পেঁচাই না । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।