যেসব চ্যালেঞ্জিং চাকরি প্রচণ্ড মানসিক চাপ তৈরি করে, সেগুলোকে আমরা অনেকেই এড়িয়ে চলতে চাই। কিন্তু একে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বরং এমন চাকরি আপনার মানসিক শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে এবং শেষ জীবন পর্যন্ত তা ধরে রাখতেও সাহায্য করতে পারে বলেই জানিয়েছেন গবেষকেরা। ইন্দো এশিয়ান নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিওনিথ ফিশার বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট ধরনের চ্যালেঞ্জিং পেশার মধ্যে এমন সম্ভাবনা আছে, তা শেষ জীবনে ব্যক্তির মানসিক সক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়ক হতে পারে।
’
৪ হাজার ১৮২ জন অংশগ্রহণকারীর ১৮ বছরের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এ গবেষণা পরিচালন করা হয়েছে। ১৯৯২ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর আটবার করে সাক্ষাত্কার নিয়েছেন গবেষকেরা। অংশগ্রহণকারীদের ৫১ থেকে ৬১ বছর বয়সের মধ্যে সাক্ষাত্কারগুলো দিয়েছেন বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত ওই অংশগ্রহণকারীরা। অবসরের আগে জীবনের প্রায় ২৫ বছর সময় ধরে একই বা একই ধরনের চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এমন পেশাদার ব্যক্তিদের নির্বাচন করা হয় এই গবেষণার জন্য।
গবেষণায় দেখা গেছে, চাকরিতে ব্যাপক মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয়েছে এমন ব্যক্তিরা অবসরের আগের সময়টাতেও স্মরণশক্তির পরীক্ষায় ভালো করেছেন।
চাকরিতে তেমন একটা মানসিক চাপ নিতে হয়নি, এমন পেশাজীবীদের তুলনায় স্মৃতিভ্রষ্টতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও তাঁদের কম। তবে, অবসরের ঠিক আগে-পরের সময়টাতে দুই দলের মানসিক সক্ষমতার এই পার্থক্য খুব বেশি না হলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিভ্রষ্টতা বাড়তে থাকে কম মানসিক চাপে চাকরি করা দলটির।
এদিকে, মিশিগান ইউনিভার্সিটির সামাজিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী গবেষণা বিজ্ঞানী জেসিকা ফল এই গবেষণা সম্পর্কে বলেছেন, ‘এ গবেষণা থেকে মনে হয়েছে যে, নানা ধরনের মানসিক সক্ষমতা খাটাতে হয়, এমন কাজ কর্মীদের জন্য উপকারী। এটা হতে পারে, মানসিক সক্ষমতার জটিল অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় এমন দায়িত্বে কাজ করা কেবল নতুন কর্মীদের জন্যই নয়, বরং অভিজ্ঞ পেশাদারদের জন্যও সহায়ক। ’
‘জার্নাল অব অকুপেশনাল হেলথ সাইকোলজিতে’ প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে মনোবিজ্ঞানী জিওনিথ ফিশার অবশ্য এই মন্তব্যও করেছেন যে, পেশাদার ব্যক্তিরা চাকরির বাইরে অন্যান্য কী ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত বা ব্যস্ত, সেই বিষয়টিও এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।