মধ্যবর্তী পর্যায়ে গিয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, তিনটি সরকারকে এ বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে। আবার আগামী দিনগুলোতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার আশঙ্কাও রয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী বাজেট বাস্তবায়ন বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বাজেট-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সিপিডি।
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এটি বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট। তিনটি সরকার এটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে যাবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের প্রভাবও বাজেটে লক্ষণীয়। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি, ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ নিম্নমুখী, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়া, অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়া—সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি উচ্চপর্যায় থেকে নিম্নগামী হয়েছে।
এ অবস্থার মধ্যে প্রস্তাবিত বাজেট দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রার ওপর ভিত্তি করেই আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এটা কতখানি বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই সংস্থাটি মনে করে, রাজস্ব আদায়ের এই পরিকল্পনাই প্রস্তাবিত বাজেটের দুর্বলতম জায়গা।
কালোটাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়ে সিপিডি বলেছে, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং এর অর্থনৈতিক সুফল এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। গত চার বছরে দেশে মাত্র এক হাজার ৩০৫ কোটি টাকা সাদা হয়েছে। এর বিপরীতে সরকার রাজস্ব পেয়েছে মাত্র ৩৮ কোটি টাকা।
দেবপ্রিয় ভট্টচার্য বলেন, ‘কালোটাকা সাদা করার কারণে যে পরিমাণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়, সে অনুযায়ী কোনো সুফলই আমরা দেখি না। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।