রপ্রতিদিনই অদ্ভুত এক ইচ্ছা জাগে আমার, ইস!আমি যদি কচ্ছপ হতে পারতাম। কি চমৎকারভাবে মাথাটা দেহের ভিতরে গুটিয়ে নিয়ে পথ চলতে পারতাম,শরীরে শক্ত একটা খোলস থাকতো, অপমান বোধটা গায়ে লাগতো না। কিন্তু নিয়তির ছকে আমি বাধা, আমি কখনো কচ্ছপ হয়ে উঠিনা। ভালবাসা...আহা কী খাঁটি একখানা শব্দ! না না,এটিকে নিছক একটি শব্দ বলা বেশ ভ্রান্ত মনে হয়। বরং ভালবাসা মানেই বহু খণ্ডের একটা অভিধান ভাবতেই বেশ ভাল লাগে।
কখনও ভালবাসাকে অজন্তার পুরোনো স্থাপত্যের মাঝের শিল্পীর বহু পরিশ্রম মনে হয়,আবার কখনও উজ্জয়িনী নগরের বিক্রমাদিত্যের সদরে প্রজাসেবাকেই মনে হয় প্রকৃত ভালবাসার উদাহরণ। সকালবেলার ফুরফুরে মেজাজের স্বল্প আঁচের রোদ্দুর অথবা কিশোরীর ভিজে চুলের ফাঁক দিয়ে পড়তে থাকা স্বচ্ছ সুগন্ধী জলের কণার মতই তরতাজা, সুন্দর, মোলায়েম অথচ দৃঢ় আবেদনময় আমার চোখে- ভালোবাসা। এ শব্দের ঘোরপ্যাঁচ বা ঘটনাবহুল প্রাত্যহিক বিবরণ এ শহরে এবং সারা পৃথিবীর হাজারে হাজারে সাহিত্যে নথি করা আছেও হয়তো এর স্নিগ্ধ আমেজের জন্যই।
ভালবাসার আতস-কাচে কখনও দেখা মিলে হরেক ভালবাসার। সবগুলোই বেশ গোপনের,আদরের,উষ্ণতার আবার সোহাগেরও।
সন্ধ্যেবেলা বা কালসিটে আধারে ভালবাসাটা ঠিক চিল পাখির মতই হিংস্র,কখনও কালবৈশাখীর মতনই ক্ষণিকের উন্মাদনা। কখনও বা ভালবাসা মানে দূরভাষ নিশ্চুপে... ছুঁয়ে ফেলা অনুভূতির হাসি...। মন ভার করা কিশোরীর কাছে হয়তো কখনও বা ভালবাসা মানে শুধুই চৌরাসিয়ার বাঁশি!
শহরের আনাচে কানাচে অহরহ জোয়ারে মজতে থাকা 'তরুণ-তরুণীরা'। সবাই ভালবাসে। যে যার স্কুল,কলেজ,চাকরি,ছবি আঁকা বা খামখেয়ালিপনা সেরেই ছুটতে থাকে ভালবাসার চেনা ঘেরাটোপে।
প্রেমে ভরা যুগলের রোমাঞ্চ ও নানা বৈচিত্রতায় ঘেরা জাদুর শহর ঢাকায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।