আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাংসদের আচরণবিধি লঙ্ঘন

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত দুই প্রার্থীর পক্ষে দুই সাংসদ প্রচারণা চালিয়েছেন। তাঁরা বিএনপি ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর লোকজনকে হুমকি-ধমকি দেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সূত্র জানায়, পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী হলেন এ কে এম ফজলুল হক। তবে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম। বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী হলেন আক্তারুজ্জামান খোকন।

আরও চারজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।
আক্তারুজ্জামান জানান, স্থানীয় সাংসদ সোহরাব উদ্দিন প্রচারণার নামে মানুষকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী রফিকুল বলেন, ‘সাংসদ সাহেব পুলিশ পাহারায় গণসংযোগ করছেন এবং তাঁর সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট না দিলে মামলা ও জেলের ভয় দেখাচ্ছেন।

তিনি তাঁর প্রার্থীকে ভোট না দিলেও কেন্দ্র দখল করে প্রয়োজনে ভোট মেরে বিজয়ী করার ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এসব অভিযোগ উথাপন করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ’
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কোল্ড স্টোরেজ এলাকায় প্রচারণার সময় এলাকাবাসী সাংসদ সোহরাবের গাড়ি ঘিরে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে সাংসদকে উদ্ধার করে।
সাংসদ সোহরাবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।

নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে তিনি আসেননি। এলাকার উন্নয়নের জন্য এলাকার জনগণের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন।
তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘সাংসদদের গণসংযোগে অংশ নেওয়া নির্বাচনের আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে মনে করি। ’
এদিকে রাষ্ট্রপতির ছেলে সাংসদ রেজওয়ান আহম্মদ অষ্টগ্রামে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী শহীদুল ইসলামের জন্য প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। দিন-রাত বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণার সময় তিনি ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী কাজী মনছুরুল কাদের অভিযোগ করেন।

এখানে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মনিরুজ্জামান ও বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সৈয়দ ফায়াজ আহম্মদ। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নির্বাচন করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।
সৈয়দ ফায়াজ আহম্মদ জানান, হাওরের ইটনা ও মিঠামইনের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। সাংসদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করে একজোট হয়ে সব ভোট সিল মেরে ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে যান।

তাই অষ্টগ্রামে সাংসদের উপস্থিতি ভোটারদের ভাবিয়ে তুলেছে। তবে রেজওয়ান আহম্মদ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নির্বাচন আচরণবিধি অনুসরণ করেই প্রচারণায় অংশ নিচ্ছি। ’

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.