'যখনই বিএনপি কোনও আন্দোলনে বিফল হয় তখনই নতুন নতুন বির্তক তৈরি করে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা। এর দায়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আইনের আওতায় আনা উচিত। ' এমন মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেছেন, 'এ জাতীয় বিতর্ক করে লাভ নেই।
যদি বিএনপির এই পথ পরিবর্তন না হয়, জনগণ এমন দৃঢ় প্রতিশোধ নেবে, রাজনীতি ভুলিয়ে দেবে। রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা হবে। '
আজ রবিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবসে'র আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, 'বাংলার মানুষ তাদের (বিএনপি) দাঁতভাঙা জবাব দেবে। সময় থাকতে সাবধান না হলে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
তাই সময় থাকতে ভুল শুধরে নেন। তা না হলে উপযুক্ত জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকেন। '
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে অপরাজনীতি শুরু হয়েছে। এটা করছে যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি, ৭ মার্চের ভাষণ মানেনি। এই অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির উত্থান দেখে নির্লজ্জ, বেহায়া ও হায়েনার মত ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তাদের গাত্রদাহ হয়। '
আমু আরও বলেন, '২৬ মার্চ জাতীয় সংগীত দিয়ে গ্রামগঞ্জে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। এটা তারা (বিএনপি) সহ্য করতে পারেনি। এটা কটাক্ষ করে তারা এখন বলছে, আন্দোলন করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লেখাবে। আন্দোলন আপনারা করতে পারবেন না।
আন্দোলন করার মত আপনারা না। '
আলোচনা সভায় সরকারের কাছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকরের দাবি জানিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীর বিচার কেন শেষ হচ্ছে না আমার বোধগম্য নয়। এই কিচ্ছাটা শেষ করেন। বয়স হয়েছে, মারা যাওয়ার আগে এইসব রাজাকারের বিচার দেখে যেতে চাই। '
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে মায়া বলেন, ১৯৯৬ সালে ৩০ মার্চ পতনের মাধ্যমে এ উচিত শিক্ষা দেবার পরও তিনি কীভাবে রাজনীতি করেন আমি বুঝি না।
যা হোক তিনি রাজনীতি করছেন, তাকে আমি স্বাগত জানাই। '
খালদা জিয়ার উদ্দেশে এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, 'জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যদি আন্দোলন করতে পারেন করেন। তবে যদি আন্দোলনের নামে যদি নৈরাজ্য করেন তাহলে এমন শিক্ষা দেবো, জীবনে কোনও দিন আন্দোলনের নাম মুখে আনতে পারবেন না। নৈরাজ্য করলে উচিত শিক্ষা পাবেন। '
তিনি আরও বলেন, 'জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এই কথাটা নতুন করে বা হঠাৎ করে আসে নাই।
কর্তার ইচ্ছায় কির্তণ হয়। জিয়াউর রহমানের উৎস যেখান থেকে সেখান থেকেই তারেক-খালেদার উৎস। সেই আইএসআই থেকে নতুন তত্ত্ব বাজারে ছেড়েছে তারা। '
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।