মুসার সঙ্গে ওই অভিযানে থাকা মীর শামসুল আলম বাবু এ অভিযোগ তুলেছেন।
সম্প্রতি এভারেস্টজয়ীদের নিয়ে প্রকাশিত নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং নেপাল মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশনা ‘নেপাল পর্বত’-এও মুসা ইব্রাহীমের নাম পাওয়া যায়নি।
এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মুসা ইব্রাহীম দাবি করলেও তার এই দাবির সঙ্গে বাংলাদেশের অনেকেই ভিন্নমত পোষণ করে আসছেন।
এই বিষয়টি নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলার মধ্যেই শনিবার বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরের এক প্রতিবেদনে ‘নেপাল পর্বত’ এর তালিকায় মুসার নাম না থাকার বিষয়টি প্রকাশিত হয়।
রোববার লাং সিসাসহ আরো কয়েকটি পর্বতে আরোহণ নিয়েও মুসা জালিয়াতি করেছেন বলে খবর প্রচার করে ওই বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন।
২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর নেপালে লাংসিসা-রি পর্বতশৃঙ্গ জয়ে যান মুসা, বাবুসহ মোট ছয় জন।
শামসুল আলম বাবু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লাংসিসা-রি অভিযানে ২০ হাজার ৭শ ফুট উপরে ওঠার পর আমাদের গাইড থেম বাহাদুর তামাং জানায় এর উপরে আর যাওয়া যাবে না। কারণ জানতে চাইলে গাইড বলেন- এর উপরে ওঠার জন্য যে ধরনের যন্ত্রপাতি দরকার ছিল তা আমাদের সঙ্গে নেই। ”
গাইডের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানেই অভিযান শেষ করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
লাং সিসা পর্বতশৃঙ্গের উচ্চতা ২১ হাজার ৮১ ফুট।
শামসুল আলম বাবু বলেন, “গাইড ফিরে আসতে বললে মুসা সেখানেই সামিট করার কথা বলেন। কিন্তু আমি এর প্রতিবাদ করলে সে বলে আমরা শুধু ছবি তুলবো। ”
“নেমে আসার পর সবাই আমাদের অভিনন্দন জানাতে থাকলে আমি মুসার কাছে বিষয়টি জানতে চাই। তখন মুসা জানায় পত্রিকায় নিউজ হয়েছে যে আমরা সামিট করেছি। ”
“সামিটের সার্টিফিকেটের জন্য গাইডকে দিয়ে ক্লেইম করাতে হয়।
মুসা গাইডকে কনভিন্সড করায় গাইড বলে আমরা সামিট করেছি। গাইডের সাক্ষ্যের প্রেক্ষিতে আমাদের তিনজনকে সামিটের সার্টিফিকেট দেয়া হয়, যেখানে লেখা ছিলো আমরা তিনজন ২১ হাজার ৮১ ফিট উপরে উঠেছিলাম। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।