ডাচদের দেয়া ১৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় পরাশক্তি ইংল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি কিন্তু নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় জয়। এর আগে ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও লর্ডসে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছিল ডাচরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের। তবে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দেখিয়ে সুপার টেনে ওঠা ডাচদের নিজেদের আরো প্রমাণ করার বাকি ছিল আপাত গুরুত্বহীন এই ম্যাচে।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাও ভালো করে নেদারল্যান্ডস। স্টেফান মাইবার্গের ৩১ বলে ৩৯ এবং ওয়েসলি বারেসির ৪৫ বলে ৪৮ রানের কল্যাণে ২ উইকেটে ১১০ রান তুলে ফেলেছিল তারা।
তবে শেষ দিকে রানের গতি বেশি বাড়াতে না পারলেও ৫ উইকেটে লড়াই করার মতো ১৩৩ রান তোলে তারা।
১৩৪ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডাচ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে দ্রুত রান তুলতে পারেনি ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরাও। অন্য দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা।
ফলে ১৪ বল বাকি থাকতেই ৮৮ রানে অলআউট ইংল্যান্ড।
দু অঙ্কে পৌঁছাতে পেরেছেন ইংল্যান্ডের মাত্র ৩ জন ব্যাটসম্যান—অ্যালেক্স হেলস (১২), রবি বোপারা (১৮) ও ক্রিস জর্ডান (১৪)।
ম্যাচসেরা নেদারল্যান্ডসের মুদাস্সর বুখারি ৩ উইকেট নিয়েছেন ১২ রানে। আর লোগান ফন বিকের ৩ উইকেট নিয়েছেন ৯ রানে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সুপার টেনের আরেক ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও অঘটন ঘটাতে যাচ্ছিল নেদারল্যান্ডস।
নাটকীয় লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে শেষে ৬ রানে হারে তারা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯ উইকেটে গড়া ১৪৫ রানের জবাবে ১৮.৪ ওভারে ১৩৯ রান তুলেছিল ডাচরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নেদারল্যান্ডস: ২০ ওভারে ১৩৩/৫ (সোয়ার্ট ১৩, মাইবার্গ ৩৯, বারেসি ৪৮, টম কুপার ৮, বোরেন ৭, বুখারি ১*, বেন কুপার ০*; ব্রড ৩/২৪, জর্ডান ১/১৩, বোপারা ১/১৫)
ইংল্যান্ড: ১৭.৪ ওভারে ৮৮ (হেলস ১২, লাম্ব ৬, আলী ৩, মরগান ৬, বাটলার ৬, বোপারা ১৮, ব্রেসনান ৫, জর্ডান ১৪, ব্রড ৪, ট্রেডওয়েল ৮*, প্যারি ১; ফন বিক ৩/৯, বুখারি ৩/১২, হুটেন ১/১১, বোরেন ১/১৮)
ম্যাচসেরা: মুদাস্সর বুখারি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।