ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া গ্রমের বাল্য বিয়ের খবর পাওয়া গেছে। আজ উপজেলার বড়ইয়া গ্রামের বাবুল চাপরাশির ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে বেতাগী থানার বিবিচিনি গ্রামের দুবাই প্রবাসী হানিফের সাথে বিয়ে হয়।
সুমি বড়ইয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। ৩০বছরের এক প্রবাসীর সাথে পরিবারের পক্ষ থেকে আজ সকালে এ বিয়ে দেয়া হয়। তবে প্রশাসন বিষয়টি অবহিত হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বড়ইয়ার পালট গ্রামের বাবুল চাপরাশির ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে বেতাগী থানার বিবিচিনি গ্রামের দুবাই প্রবাসী হানিফের সাথে বিয়ে ঠিক হয়। গত শনিবার রাতে এ বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় সুজন, কামাল, ফেরকান ও বাহাদুরসহ একাধিক ব্যক্তি এতে বাধা দেন। পরদিন আজ সকালে বর পরিবারের উপস্থিতিতে স্থানীয় কাজী ডেকে পুনরায় বিয়ের আয়োজন করে কনে পরিবার। সকালেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবা আক্তার ও রাজাপুর থানার ওসি নজরুল ইসলামকে অবহিত করা হলে কেউ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
বিষয়টি নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরউজ্জামান মনিরকে জানালে তিনি কাজী সাহেবকে ডেকে ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান।
উপজেলা চেয়ারম্যানের ঘনষ্টি স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রাসেল ও মতিন সহযোগিতায় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কোন কাগজপত্র ছাড়া মৌখিক বিয়ে পড়ান স্থানীয় কাজী কাইউম হোসেন। এই ছাত্রলীগ নেতারা এলাকায় রাসেল মতিন গ্রুপ তৈরী করে বিভিন্ন অপকর্মের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। এরা পালট গ্রামের দিন মজুর আইয়ূব আলীর ছাগল চুরি করে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে শালিশ মিমাংসায় ২ হাজার জরিমানা দেয়। একই গ্রামের প্রবাসী শাহজাহান হাওলাদারের স্ত্রীর আলমিরা ভেঙ্গে ২২ ভরি স্বর্ন নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা নং (০১৭/১৩) হয়। মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা থাকলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেননা বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবা আক্তার বলেন, 'সকালে আমি সেখানে লোক পাঠিয়েছিলাম কিন্তু সঠিকভাবে ঠিকানা না পাওয়ায় লোক ফেরত এসেছে। এখন (আজ সন্ধ্যায়) আবার লোক পাঠানো হচ্ছে। '
স্থানীয় কাজী কাইউম হোসেন বলেন, 'সকালে আমাকে বিয়ে বাড়িতে নেয়া হয়েছিল কিন্তু কোন বিয়ে পড়াইনি।
বিয়ের কোন প্রমাণও নেই। '
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।