আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতীতের চেয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে: আ. লীগ

অতীতের যেকোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে সদ্যসমাপ্ত চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংঘাতপূর্ণ ও বাকযুদ্ধের রাজনৈতিক পরিবেশ বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও অতীতের যেকোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির ঐতিহ্য অনুযায়ী, ছয় সপ্তাহকাল দেশব্যাপী মোটামুটি এক উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল।

ভবিষ্যতে দলীয়ভাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানান যোগাযোগমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সদ্যসমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি সম্পর্কে ধারণা অর্জনে সক্ষম হয়েছি। ’

বিএনপির নানা অভিযোগ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতারা ভিত্তিহীন, কল্পিত, কুিসত মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছিলেন। তাঁদের প্রতি আহ্বান জানাব, অপপ্রচার বন্ধ করুন। অপরাজনীতি ও মিথ্যাচারের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসুন। দেশবাসী আর অতীতের বিএনপি-জামায়াত জোটের সেই দুঃশাসনের রাজত্বে ফিরে যেতে চায় না।



উপজেলা নির্বাচনে প্রতি ধাপে সহিংসতা বাড়ার কারণ জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, অতীতে যে উপজেলা নির্বাচন হয়েছে, তার চেয়ে এই নির্বাচনে কিছুটা অনিয়ম হয়েছে। তবে আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি, ভালোটা দেওয়ার জন্য। প্রশাসনের লোকদের আমরা শুধু এটুকু বলেছি, এমন কাজ করবেন না, যাতে সরকারের বদনাম হয়। আমরা হস্তক্ষেপ করলে তো পীরগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জে আমাদের সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হতো না। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামীর বহু প্রার্থী জয় লাভ করত না।



সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।


গতকাল সোমবার পঞ্চম দফায় ৭৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৭২টি উপজেলার বেসরকারি ফল পাওয়া গেছে আর বরগুনার আমতলী উপজেলার ফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়। ৭২টি উপজেলার মধ্যে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ৪৯ জন এবং বিএনপি-সমর্থিত ১২ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চারটি, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী একজন, জামায়াতে ইসলামীর তিনটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-সন্তু লারমা) দুটি ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) একজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।