নস্ট্রাডামাসের ভবিষ্যদ্বাণীর কথা ভুলে যান। তাঁর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণীই তো মেলেনি। বরং শুনুন এঁদের কথা। কত দিন আগেই তো তাঁরা ঠিকঠাক অনুমান করে ফেলেছিলেন ভবিষ্যতের এসব আবিষ্কার। রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে লিখেছেন রুহিনা তাসকিন
১৮৯৮
ইন্টারনেট, মার্ক টোয়েন
মার্ক টোয়েন মানেই টম সয়্যার আর হাকলবেরি ফিনের রোমাঞ্চকাহিনি নয়।
ইন্টারনেটের ভাবনা তাঁর মাথায় এসেছিল এটি উদ্ভাবনের শতবর্ষ আগেই। তিনি এর নাম দিয়েছিলেন টেলেকট্রোস্কোপ। তবে তার কাজটা ইন্টারনেটের মতোই ছিল। টেলিফোন সংযোগের মাধ্যমে বিশ্বকে জুড়ে দেওয়ার কথা লিখেছিলেন তিনি। তাঁর ছোটগল্পের সংকলন ফ্রম দ্য লন্ডন টাইমস অব ১৯০৪-এ প্রকাশিত একটি গল্পে এমন ভাবনার কথা লিখে গেছেন মার্ক টোয়েন।
১৯৫৩
ফ্ল্যাটস্ক্রিন টেলিভিশন, রে ব্র্যাডবেরি
বাড়ির একটা গোটা দেয়ালজুড়ে টেলিভিশন চাই স্ত্রীর। মাত্র দুই হাজার ডলার দাম। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির ঝানু লেখক রে ব্র্যাডবেরি এমনটা লিখেছিলেন ১৯৫৩ সালেই, ফারেনহাইট ৪৫১ উপন্যাসে। এমনকি দামটাও খুব একটা অবাস্তব নয়! ১৯৯৭ সালের আগে বাজারে আসেইনি ফ্ল্যাটস্ক্রিন টেলিভিশন।
১৯৬৬
স্টারট্রেক, ব্লুটুথ
এন্টারপ্রাইজ নামের মহাকাশ যানের কর্মীরাই প্রথম ব্যবহার করেন ব্লুটুথ! হাতের ব্যবহার ছাড়া (হ্যান্ডস-ফ্রি) যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বিশেষ একধরনের ইয়ারপিস ব্যবহার করেন তাঁরা।
অর্থাৎ ক্যাপ্টেন ক্লার্ক এবং তাঁর দলের সদস্যরাই সবার আগে হ্যান্ডস-ফ্রি ফোনকল করেন। ১৯৬৬ সালে টেলিভিশন সিরিজ স্টারট্রেক: দ্য অরিজিনাল-এ দেখানো হয় তা। ১৯৯৪ সালে ব্লুটুথ আবিস্কৃত হয়।
১৯৯১
ইউটিউব, ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা
‘হঠাৎ করেই দেখা যাবে, ওহাইওর এক মেয়ে পরবর্তী মোৎসার্ট বনে যেতে পারে। ...তার বাবার ছোট্ট ক্যামেরায় হয়তো সে সুন্দর একটা ফিল্ম বানাল, আর তখনই কিন্তু সিনেমা তৈরির এই পেশাদার জায়গাটা ধ্বংস হয়ে যাবে।
সেটা তখন সত্যিই একটা শিল্পে পরিণত হবে। ’ ১৯৯১ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন চিত্রনির্মাতা ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা। এর ১৪ বছর পর চালু হয় ইউটিউব।
১৯৬৮
অনলাইন শপিং, জেমস বেরি
ক্লিক করুন আর কিনুন, কেনাকাটার এই ধারণাটা কিন্তু বেশ পুরোনো। মেকানিকস ইলাসট্রেটেড পত্রিকায় ১৯৬৮ সালেই এ নিয়ে লিখেছিলেন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি লেখক জেমস বেরি।
‘ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি না করে ক্রেতারা যান্ত্রিকভাবে দেখে নেন কোন দোকানে কী কী পণ্য আছে। ’ এমনই লিখেছিলেন তিনি। ১৯৯৫ সালে অনলাইন কেনাকাটা চালু হয়।
১৯৯০
ফুল বডি স্ক্যানারস, টোটাল রিকল
২০১০ সালে বিমানবন্দরে পুরো শরীর স্ক্যান করার যন্ত্র বসিয়ে প্রচুর সমালোচনা সইতে হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসনকে (ইউএস ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)। তবে আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগারের ভক্তদের কাছে কিন্তু জিনিসটি মোটেও অপরিচিত নয়।
১৯৯০ সালে টোটাল রিকল ছবিতে যে তাঁরা আগেই দেখে ফেলেছেন স্ক্যানারের নিচে আর্নির কঙ্কাল!।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।