মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার 'রাজাকার' সৈয়দ হাসান আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
হাসান আলীকে গ্রেফতারের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেওয়া হয়। আদেশে আরও বলা হয়, আগামী ১৫ মের মধ্যে হাসান আলীর বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
আবেদনের পক্ষে শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোকলেছুর রহমান বলেন, হাসান আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের মাছিহাতা গ্রামে থাকেন।
এলাকাটি ভারতের সীমান্তবর্তী হওয়ায় যেকোনও সময় তিনি ভারতে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই বিচারে বিঘ্ন ঘটার আগেই তাকে গ্রেফতার করা উচিত।
আবেদনে বলা হয়, হাসান আলীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তদন্ত চলছে। গত বছরের ৬ জুন থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তাই তদন্তের সুবিধার জন্য তাকে গ্রেফতার করা দরকার।
এদিকে, তদন্ত সংস্থা জানায়, হাসান আলীর পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তার বাবা মাওলানা মুসলেহউদ্দীন কিশোরগঞ্জে মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। সত্তরের নির্বাচনের সময় তিনি নূরুল আমিনের নেতৃত্বাধীন পিডিপির সহ-সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি কিশোরগঞ্জ মহকুমার শান্তি কমিটির সভাপতি হন।
একাত্তরে তার ছেলে হাসান আলী রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার থাকলেও একপর্যায়ে তাকে তাড়াইল থানার দারোগা নিয়োগ করা হয়। একাত্তরের দু'টি ঘটনায় হাসান আলীর নিজের হাতে পাঁচজন নিহত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মুক্তিযুদ্ধকালে নৃশংসতার শিকার এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সংস্থা তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।