ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো উদ্ধত, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অহংকারী। অনেক দিন ধরে সেঁটে থাকা এসব নেতিবাচক শব্দ সিআর সেভেনের গা থেকে ঝরে পড়তে শুরু করেছে। রোনালদোর উদার মনের পরিচয় মিলছে হামেশাই। এই তো কদিন আগে জানা গেল, জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে থাকা এক শিশুর চিকিত্সায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পর্তুগিজ উইঙ্গার। এবার ওই হাতখানা বাড়িয়ে দিলেন আরেক শিশুর দিকে।
গোটা দুনিয়ায় রোনালদোর ভক্তসংখ্যা কত, তা বের করতে রীতিমতো গলদঘর্ম অবস্থা হবে ইউএনএফপিএরও (জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল)! এ অগুনতি ভক্তের মধ্যে পোল্যান্ডের দাবিদ একজন। ঘটনা তা নয়; ঘটনা হচ্ছে, ১৪ বছর বয়সী রিয়াল-সমর্থক গত বছর একটি গাড়ির ধাক্কায় মারাত্মক আহত হয়। প্রায় তিন মাস কোমায় থাকতে হয় তাকে। মা-বাবা ছেলের রিয়াল ও রোনালদো-ভক্তির কথা জেনেই কিনা হাসপাতালের তার বিছানায় রিয়ালের চাদর বিছিয়ে দেয়, রিয়ালের খেলার ধারাবিবরণী শুনতে হেডফোন দেয়। অলৌকিক হলেও সত্য, কোমায় থাকা দাবিদ চোখ মেলে তাকায় গত ১৮ নভেম্বর, ঠিক যে মুহূর্তে রোনালদো গোল করেন।
এরপর মাস খানেকের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফেরে দাবিদ।
পোলিশ সংবাদপত্র ফাকত-এর সৌজন্যে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। সেটি পৌঁছায় রোনালদো অবধি। এ খবর পেয়ে সিআর সেভেন বসে থাকেননি। বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল-বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ দেখার সুযোগ করে দেন দাবিদকে।
পোলিশ কিশোরকে রীতিমতো ভিআইপির মর্যাদা দেওয়া হয়। উপহার হিসেবে জার্সি, ছবি তোলাসহ যত্ন-আত্তি যেন উপচে পড়ছিল সেদিন! দাবিদ নিশ্চয় বারবার বলেছে, রোনালদো, তুমি গ্রেট!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।