আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যু চিন্তা ও কৃতকর্মের অনুসোচনা।

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। মৃত্যু ও দুনিয়ার শেষ ঠিকানা কবর কে স্মরন করা ইসলামের শিক্ষা। তাতে জাগতিক লালসা ও পাপাচার ভুলে সুদ্ধ জীবন গড়ার প্রেরনা লাভ করা যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে আসে মৃত্যু চিন্তা, মেলান জীবনের হিসাব নিকাশ। অতীত জীবনের করা ভুল গুলো মত দাগে প্রকাশ পায় নিজের চোখে।

কেউ তা থেকে শিক্ষা নিয়ে শুধরে নিয়ে পরিশীলিত জীবন যাপন করেন শেষ দিন পর্যন্ত। আবার কেউ শুধু আত্বঅনুসুচনায় ভুগেও, আবার মেতে উঠেন সেই পুরান ধারায়। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ১৯৪০ সালের ২৪ মে জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস : কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর গ্রাম। পিতা : মাওলানা মমতাজউদ্দিন আহমদ।

জনাব মওদুদ আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেরাষ্ট্রবিজ্ঞানেসম্মানসহ মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ইংল্যান্ডের লিংকন’স ইন থেকে বার-এট-ল’ ডিগ্রী অর্জন করেন। এক কূটনৈতিক আড্ডায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নিজের ফেলে আসা পঙ্কিল জীবনের অনুসোচনায় আপ্লুত হলেন। বিএনপি’র বর্ষীয়ান এই নেতা বললেন, অনেক বদনাম হয়েছে অতীতে দলবদল করে। সায়াহ্নে এসে এই ময়লা আর গায়ে লাগাতে চাই না।

আর দলবদল নয়। যে ক’দিন বাঁচি ততদিন বিএনপিতেই থাকবো। দল ভাঙার কোন ষড়যন্ত্রের সঙ্গে নেই, থাকবো না। বিএনপি’ই আমার শেষ ঠিকানা। মুসলিম মাত্রই জানেন দুনিয়ার শেষ ঠিকানা হলো কবর।

কোনো দল বা আশ্রয় শেষ ঠিকানা হতে পারে না। পারে কি? আর তিনি যদি দুনিয়ার ঠিকানা বুঝিয়ে থাকেন তাহলেও কথা থেকে যায়। আপনারা সকলেই জানেন, বৈধভাবেই এক ঠিকানায় একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। মেনে নিলাম উনি বিএনপির ঠিকানা ছেড়ে যাবেন না। কিন্তু ওই ঠিকানা ব্যবহার করে কোন কোন দলের হয়ে কাজ করবেন তা কিন্তু পরিস্কার করেননি এই আত্মস্বীক্রিত সুবিধাবাদী কলঙ্কিত বহুগামী রাজনীতিবীদ।

আর মুখে যতই বড়াই করেন না কেন, ১-১১ এর ক্রান্তি লগ্নে শত ডেকেও তার সারা পাননি বেগম খালেদা জিয়া বা কোন মুল ধারার নেতারা। বাজারে গুঞ্জন, মওদুদ আহমদকে দিয়ে বিএনপি ভেঙে নির্বাচনে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এমনও হতে পারে তাকে প্রথমে কারাগারে নেয়া হবে। এরপর হবে সমঝোতা। ব্যারিস্টার মওদুদ শুনে হাসলেন।

বললেন, লিখে দিন আমি ওসবে আর নেই। তার মানে দারায় উনি আগের পঙ্কিল কাজে লিপ্ত ছিলেন। এটা কি ওনার আসলেই সঠিক পথে ফেরার আগ্রহ? না নতুন কোন কুটকৌশল? নটিকে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু সুবিধাবাদী কলঙ্কিত এই রাজনীতিবীদ , রাজনৈতিক বহুগামিতা যার রক্তে মিশে আছে তাকে কি বিশ্বাস করা যায়?  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.