আকাশের গনগনে রোদ যেন চারদিকে বৈশাখের আগমনেরই জানান দিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে রোদ, কালবৈশাখী সব উপেক্ষা করেই বাংলা নববর্ষ বরণে প্রস্তুতির কমতি নেই। বিভিন্ন ও ফ্যাশন হাউসও তাদের সংগ্রহে বৈশাখের নানা ধরনের পোশাকের পসরা সাজিয়েছে।
কথা হলো রঙ-এর অন্যতম স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার বিপ্লব সাহার সঙ্গে। রঙ এবার বাংলার লুঙ্গি বিষয় নিয়েই মূলত বৈশাখের পোশাকগুলো ডিজাইন করেছে বলে জানালেন তিনি।
তবে তা উপস্থাপন করা হয়েছে একদমই নতুন রূপে। ছেলেদের টুপি, পাঞ্জাবি, কটি থেকে শুরু করে মেয়েদের শাড়ি এবং কুর্তায়ও ব্যবহার হয়েছে লুঙ্গির চেক।
লুঙ্গির সঙ্গে গামছা বা গ্রামীণ চেকের পার্থক্য কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত সুতার ধরন, রঙের সমন্বয় এবং চেকের আকৃতির ভিন্নতাই এক চেক থেকে আরেক ধরনের চেককে আলাদা করে তোলে। যেমন লুঙ্গির চেক সাধারণত মাঝারি ও বড় আকৃতির হয়ে থাকে এবং নীল ও সবুজ শেডের সুতাই এতে বেশি ব্যবহূত হয়। অন্যদিকে গামছার চেক আকারে ছোট হয় এবং লাল, হলুদ সবুজের মতো উজ্জ্বল রংগুলো এখানে বেশি দেখা যায়।
লুঙ্গির চেককে ফ্যাশনেবলভাবে উপস্থাপনের জন্য শাড়িতে এর সঙ্গে ব্লকপ্রিন্ট ও আলাদা পাড় ব্যবহার করা হয়েছে আর কুর্তা, পাঞ্জাবি ও কটিতে করা হয়েছে প্যাচওয়ার্ক। হাল ফ্যাশনের সঙ্গে মানানসই থাকার জন্য বৈচিত্র্য আনা হয়েছে মেয়েদের কুর্তার কাটেও। চেকের মধ্যে নীল, ময়ূর নীল, সবুজ এবং সাদা রঙই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।
বিপ্লব সাহা বলেন, যাঁরা ঐতিহ্যবাহী সাজে থাকতে চান তাঁরা বৈশাখের চিরায়ত রঙ লাল-সাদা পোশাকে নিজেদের সাজাবেন আর যাঁরা ভিন্নতা আনতে চান তাঁরা চাইলে অন্যান্য উজ্জ্বল রঙের পোশাকও বেছে নিতে পারেন। সারা দিন পরে বেড়ানোর জন্য এই গরমে তাঁত আর সুতি শাড়ির কোনো জুড়ি নেই।
তবে সন্ধ্যার নিমন্ত্রণে জমকালো ভাব আনতে বলাকা সিল্ক, হাফ সিল্ক অথবা অ্যান্ডি সিল্কের মধ্যে কাজ করা পোশাকও পরা যেতে পারে।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, এবার বৈশাখের পোশাকে চেক, স্ট্রাইপ, টাইডাই, প্যাচওয়ার্ক ও অ্যাপ্লিকের নকশাই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। শাড়ি চেকের অথবা টাইডাইয়ের হলে এর সঙ্গে ব্লাউজটি এক রঙের পরলে ভালো দেখাবে। তা ছাড়া অন্যান্য নকশার শাড়িতেও এখন শাড়ির সঙ্গে পুরোপুরি না মিলিয়ে রঙের বৈপরীত্য এনে ব্লাউজ পরার ট্রেন্ড চলছে।
কথা হলো যাত্রার ডিজাইনার মাধুরী সঞ্চিতার সঙ্গে, তাঁরা এবার ‘বাংলাদেশের সাতটি বিভাগ’ বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন।
বিভাগগুলোর বিখ্যাত লোককাহিনি, পরিচিত পাখি ও বেশি জন্মে এমন ফল বা গাছের পাতার রঙ ও নকশা দিয়েই তাদের এবারের বৈশাখী পোশাকগুলো নকশা করা হয়েছে বলে জানালেন তিনি। যাত্রায় পাওয়া যাচ্ছে কিছু চেক, মোমবাটিক ও প্যাচওয়ার্কের ব্লাউজ পিস। এক রঙের বা পাড়সহ সাদামাটা শাড়ির সঙ্গে এই ব্লাউজগুলো দারুণ মানাবে।
এবার যে ধরনের পোশাক চলবে তার সঙ্গে কাঠ, মাটি, নানা রঙের পুঁতি, উল ও কাপড়ের গয়নাগুলো বেশি মানাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।