জাতিসংঘে নিয়োগ পাওয়া ইরানের নতুন রাষ্ট্রদূত হামিদ আবুতালেবি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারছেন না।
কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য তালেবির ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যানের প্রস্তাব গতকাল সোমবার মার্কিন কংগ্রেসে সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়।
এ ছাড়া কারও ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করার একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে।
টেক্সাস থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন।
ইরান সরকার সম্প্রতি জাতিসংঘে তাদের রাষ্ট্রদূত হিসেবে হামিদ আবুতালেবির নাম ঘোষণা করে।
এরপরই তিনি নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভিসার আবেদন করেন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয় সমালোচনা।
১৯৭৯ সালে ইরানে ৫২ জন মার্কিন নাগরিককে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত জঙ্গি দলের সদস্য ছিলেন হামিদ আবুতালেবি।
গতকাল কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে গৃহীত ফরেন রিলেশনস অথরাইজেশন আইনে ব্যক্তি বিশেষের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করার জন্য প্রেসিডেন্টকে একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এ আইনে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাবৃত্তি এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি—এমন ব্যক্তিদের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করার কথা বলা হয়েছে।
নতুন এই আইনে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জঙ্গি তত্পরতায় অতীতে জড়িত ছিলেন, এমন ব্যক্তির ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করার কথা সংযুক্ত করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট সিনেটর চার্লস শুমার বলেছেন, হামিদ আবুতালেবিকে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করাটাই যথার্থ হয়নি। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের লোক আমেরিকার মাটিতে পা রাখার আগেই আমরা দরজা বন্ধ করে দেব। ’ নতুন প্রণীত আইনে এ ব্যবস্থাই পাকাপাকি করা হয়েছে বলে সিনেটর চার্লস শুমার উল্লেখ করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।