আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বগুড়া থেকে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার তিস্তামুখী যাত্রা শুরু

বগুড়া থেকে আজ বুধবার সকালে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার তিস্তামুখী যাত্রা শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা থেকে এই ‘রোড মার্চ’ বগুড়ায় পৌঁছে।
ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘ঢাকা-তিস্তা’ রোড মার্চের কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বগুড়া শহরের সাতমাথায় বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ারে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তাঁরা ‘যে বন্ধুত্বে পানি নাই, সে বন্ধুত্ব দরকার নাই’, ‘বন্ধুত্ব না পানি, পানি-পানি’, ‘পানি পানি পানি চাই, তিস্তার পানি চাই’ স্লোগান দিতে থাকেন।
দ্বিতীয় দিনের রোড মার্চ শুরুর আগে সাতমাথায় সমাবেশ করে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা।

সমাবেশে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুস ছাত্তার, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশ চক্রবর্তী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৮৩ সালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিস্তার পানির ৩৬ শতাংশ বাংলাদেশ, ৩৯ শতাংশ ভারত এবং ২৫ শতাংশ সংরক্ষিত থাকার কথা। অথচ ভারতের বিরোধিতার কারণে তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। উল্টো তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে ভারত শুরু থেকেই বাংলাদেশের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। মুখে বন্ধুত্বের কথা বললেও দেশটি বাংলাদেশের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।

জলপাইগুড়ির গজলডোবায় তিস্তায় ব্যারাজ দিয়ে ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এতে তিস্তা অঞ্চলের ধরলা, দুধকুমার, ঘাঘটসহ, ৩৩টি নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন। শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় সাড়ে চার হাজার কিউসেক পানিপ্রবাহ থাকার কথা থাকলেও তা ৫০০ কিউসেকে নেমে এসেছে।

বক্তাদের অভিযোগ, উজানে বাঁধ দিয়ে ‘কথিত বন্ধুরাষ্ট্র ভারত’ বাংলাদেশের ৫১টি নদীর পানি প্রত্যাহার করে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ঢাকা থেকে নীলফামারীর তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখী এই রোড মার্চ করছে।

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

এরপর সকাল সাড়ে নয়টায় সাতমাথা থেকে রংপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে রোড মার্চ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।