আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আফ্রিদিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

ব্যাটে-বলে সমান দক্ষ শহীদ আফ্রিদির চোটপাটই আলাদা। ঢাকায় সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান দল সুবিধা করতে না পারায় মনের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি তিনি। দেশে ফিরে বিমানবন্দরে নেমেই ঝেড়ে ফেলেন তা। আর যায় কোথায়? পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হর্তাকর্তারা বেজায় চটে গেলেন তাঁর ওপর। দিয়ে বসলেন কারণ দর্শানোর নোটিশ।



মোহাম্মদ হাফিজের পদত্যাগের পর অধিনায়ক পদে তাঁর নামটি বেশ জোরেশোরেই শোনা গিয়েছিল। পিসিবির রোষ এখন এতে বাদ সাধে কি না, তা দেখার বিষয়।

করাচি বিমানবন্দরে পাকিস্তান অলরাউন্ডার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তান দলের আক্রমণাত্মক মানসিকতা ছিল না। এ কারণেই সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি দল। বাংলাদেশ সফরে দলের মনোভাব ছিল রক্ষণাত্মক।

অধিনায়কত্ব বদলানোর আগে ওটাই বদলানো উচিত। ’

বিষয়টা ভালোভাবে নেয়নি পিসিবি। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে বাধানিষেধ রয়েছে। পিসিবির একটি সূত্র জানায়, আফ্রিদিকে নাকি জিজ্ঞেস করা হয়েছে, অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্টের বাইরে তিনি কেন কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে? আফ্রিদি নাকি জবাব দিয়েছেন, বড় টুর্নামেন্ট শেষে দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা তাঁর কাছে নতুন নয়। তিনি জোর দিয়েই বলেন, দল বা বোর্ডের কারও ক্ষতি হয় বা অসম্মান করা হয়, এমন কিছু বলেননি।



নতুন অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে যেহেতু তাঁর নাম শোনা যাচ্ছে, এমন মন্তব্যে কোনো সমস্যা হবে কি না—এমন প্রশ্নে আফ্রিদি জানান, যদি অধিনায়কত্বের প্রস্তাব পান, তাহলে জাতি ও দলের জন্য এ চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি প্রস্তুত। তবে অধিনায়কত্ব পাওয়ার ব্যাপারে মোটেও দৌড়ঝাঁপ করছেন না। একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবেই সেদিন ওই মন্তব্য করেছিলেন। অথচ বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে যাঁদের বেশি কথা বলার ছিল, সেই জহির আব্বাস (দলের পরামর্শক) ও কোচ মঈন খানই টুঁ শব্দ করেননি।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।