কবি হতে চেয়েছিলাম... ক্রিকেট জীবনের শুরুতেই বিস্ময়বালক হিসেবে ক্রিকেট দুনিয়ায় পদার্পণ শচীন টেন্ডুলকারের। সময় যতো গড়িয়েছে ততোই রান-রেকর্ডের সোনালি ফসলে ভরে উঠেছে শচীনের গোলা। যার সুফল পেয়েছে ভারত, এমনকি ক্রিকেটও। কারণ শচীনের জনপ্রিয়তা, তার বিতর্কহীন জীবন- ক্রিকেট দুনিয়ার বাইরের মানুষকেও মোহিত করেছে। শচীনের ব্যাটে ভর করে ক্রিকেটের দুনিয়া-বিস্তারি ভ্রমণ অনেক দূর এগিয়েছে।
যাক এবার শিরোনামে আসি। ২৩ ডিসেম্বর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বরাতে জানা গেল শচীন টেন্ডুলকার একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। ৩৯ বছরের শচীনের খেলা পড়তির পথে। সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ডের সাথে সিরিজি তা বেশ আঁচ করা গেছে। তাঁর অবসরের পক্ষে-বিপক্ষে চলছিলো ক্রিকেটবোদ্ধাদের তর্ক।
সে তর্কের আধেকটা কমলো একিদনের ক্রিকেট থেকে শচীনের অবসরে।
ইংল্যান্ড সিরিজের সময় শচীনের অবসরের ঘোষণা আসবে, এমন ধারণা ছিলো অনেকের। সেটা না করে শচীন পাকিস্তানের সফর সামনে রেখে অবসর নিলেন। তা-ও শুধু একদিনের ক্রিকেট থেকে। এখানে তাই প্রশ্ন উঠে আসে, পাকিস্তানের ভয়ে কী শচীনের একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর? পাকিস্তানের সাথে টেস্ট থাকলে কী করতেন শচীন?
পাকিস্তানের সাথে যদি ভারত সিরিজ হারতো আর শচীন খারাপ করেন, তবে সম্মান নিয়ে শচীনের বিদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়তো।
এদিকটি দেখলে শচীন অবসর নিয়ে ভালো করেছেন। অন্যদিকে এ এক ধরনের যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন। আর একদিনের সাথে টেস্ট থেকেও শচীন অবসর নিলে এ নিয়ে আর কোনো কথা উঠতো না।
শচীনের অবসরের ক্রিকেট দুনিয়া তার মহান সন্তানকে হারাবে জানি। তবু বয়সের দোষে বিদায় বলতে হয়, সবাইকে।
মাঠে যা দেখিয়েছেন আর কি-ইবা দেখানোর বাকি, আর কি-ইবা বাকি প্রাপ্তির খাতায়। অবসরের পর কোনো ক্রীড়া-কিংবদন্তি হারিয়ে যাননি, তারা আছেন, থাকবে স্বকীর্তিতে মহিয়ান হয়ে।
সবশেষে শচীনের জন্য একগুচ্ছ শুভবাদ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।