গহ্বর বাসা (crevice): মাটির রন্ধ্র/ছিদ্র/ছেঁদায় টিয়াজাতীয় পাখি এমন নীড় বাঁধে।
পাকানো বাসা (twist): টুনটুনি লেবুজাতীয় গাছের পাতা সর্পিলাকারে মোচড়িয়ে/পেঁচিয়ে/পাক দিয়ে তৈরি করে।
বলয় (sphere): দেখতে বর্তুল বা গোলাকৃতির। যাতায়াতের ছোট্ট দরজা ব্যতীত চতুর্দিকের পুরোটাই বেড়া দিয়ে ঘেরা থাকে। মোটা ঠোঁটবিশিষ্ট বাবুইজাতীয় পাখি এ ধরনের বাসা বানায়।
মঞ্চ (platform): ঈগল,সারস, বাজপাখি গাছের মগডাল বা উঁচু পর্বত-চূড়ায় তাদের শরীরের তুলনায় কয়েকগুণ বড় আকারের বাসা একবার নির্মাণকরত অনেক বছর ব্যবহার করে।
ঘষটান (scrape): এটির নির্মাণ-কৌশল সবচেয়ে সহজ। ভূপৃষ্ঠে আঁচড় কেটে সামান্য খানা-খন্দ তৈরি করে লতাপাতা, কুচিপাথর, কিছু বীজ ও ফলের বহিরাবরণ, পালক ইত্যাদি দিয়ে বৃত্তাকারে সরু রেখা টেনে দেয় যাতে ডিম গড়িয়ে পড়ে না যায়। উদাহরণ: উটপাখি, কিছু পাঁতিহাস, শঙ্খচিল, শ্যেন, কোয়েল, তিতির।
ঢিবি (mound): ডাহুক, কোড়া, পানকৌড়ি, কলহংস, আরণ্যভূমির তুর্কি মোরগ-মুরগি মাটি, লতাপাতা, গাছের সরু ডাল/শাখা-প্রশাখা ও পাতা দিয়ে স্তুপাকারে বাসা বাঁধে।
ক্রম-পচনশীল বস্তুপিন্ড হতে উদ্ভূত তাপে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরহয়।
পিরিচ/থালা (saucer or plate): চড়ুইপাখি তুলনামূলকভাবে অগভীর এ ধরনের বাসা বানায়।
পেয়ালা (cup): দেখতে অর্ধমন্ডলাকৃতির। ঘাস, লতাপাতা, নরম ভেজা মাটি দিয়ে ফিঙে, হামিংবার্ড, সুইফ্ট এমন নীড় বাঁধে।
ফাটল/ফাঁক/গর্ত (cavity): দেওয়াল, গাছ প্রভৃতিতে কাঠঠোকরা, তোতাপাখি, ধনেশ এ ধরনের বাসা বানায়।
ঝুলন্ত বাসা (pendant): খড়, তাল গাছের কচিপাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে উঁচু তালগাছে আকর্ষণীয়, চমৎকার ও মজবুত বাসা তৈরি করে বাবুই পাখিরা। প্রবল ঝড়েও বাসা ভেঙে পড়ে না। শক্ত বুননের এ বাসা টেনেও ছেঁড়া যায় না।
বিবর (burrow): মাছরাঙা (সাধারণত মাছের কাঁটা দিয়ে), কিছু পেঁচা ও টিয়া, টিট্টিভ (দীর্ঘপদী, খর্বপুচ্ছবিশিষ্ট সামুদ্রিক পাখি) ঢালবিশিষ্ট মাটির গর্তে এ ধরনের বাসা বানায়।
ধন নয় মান নয় এতটুকু বাসা, করেছিনু আশা-
‘পংঙ্খী বান্দে গাছে বাসা জংগলে হরিণ,
মানুষ বান্দে মাটির উপর সংসার ও-রঙীন...’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।