রোববার বিচারপতি সামলা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ সালাহউদ্দিনকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের পর গত ৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন এই বিএনপি নেতা। আটকের পর তাকে চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর গত মে মাসে তাকে কারাফটক থেকে আবারো গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাকে শেরেবাংলানগর ও তেজগাঁও থানায় দায়ের করা দুইটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত বুধবার বিচারিক আদালতে এই দুই মামলায় জামিন নাকচ হলে তিনি হাই কোর্টে জামিন চান।
জামিন মঞ্জুরের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আটকের পর থেকে এ পর্যন্ত তাকে যে ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, কোনটিরই তিনি এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না। এ সব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এই দুই মামলায় জামিনের পর তার মুক্তি পেতে আর কোন বাধা নাই।
এদিকে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ বিএনপির অপর যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানকে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে তাকে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে আদালত।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়।
জামিন আবেদনকারীর আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইতিপূর্বে গ্রেপ্তার সকল মামলায় জামিন পাওয়ার পর তাকে জেল গেট থেকে আটক করে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
“এ কারণে আমাদের মক্কেল আশঙ্কা করছেন, তিনি আবারো জামিন পেলে তাকে জেলগেট থেকে আবারো গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।