আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুনের আসামি হাইকোর্টের বিচারক হন, শততম ধর্ষণ উদ্যাপনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পান, বাথরুমে বেঁধে জীবন্ত মানুষকে টুকরা টুকরা করে কেটে ফেলা নরপশু প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা লাভ করেন।

আমি অমানুষ, সব মানুষের সাথে আমার বাস। নাকি মানুষ আমি, আমার বসবাস সব অমানুষের সাথে টিভি আর পত্রিকার ক্যামেরায় বিশ্বজিত লাইভ হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন তাঁরা, কীভাবে এখন রক্ষা পাবেন! নাহিদ-লিমন, রাজন-রফিকুল—যিনিই হোন না কেন তিনি, তাঁকে এবার ধরা পড়তে হবেই। যেভাবে পত্রপত্রিকা ছেঁকে ধরেছে, খুব দ্রুত জামিনও তাঁরা পাবেন না হয়তো। তবে বিশ্বজিতের খুনিদের বেশি ঘাবড়ানোর কিছু নেই। একদিন যখন আরও বিশ্বজিৎ খুন হবেন, আরও ভয়াবহ কোনো তাণ্ডব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন সাংবাদিকেরা, সবার অলক্ষ্যে তাঁরাও জা মিন পেয়ে বের হয়ে আসবেন।

তারপর যদি বিচার হয়, সাজাও হয়, বিশ্বজিতের খুনি বীরসেনানীর হতোদ্যম হওয়ার কারণ নেই। এই রাষ্ট্রে খুনের আসামি হাইকোর্টের বিচারক হন, শততম ধর্ষণ উদ্যাপনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পান, বাথরুমে বেঁধে জীবন্ত মানুষকে টুকরা টুকরা করে কেটে ফেলা নরপশু প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা লাভ করেন। কাজেই বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদেরও সুদিন আসবে একদিন। বিশ্বজিৎকে হয়তো নির্ঘাত জামায়াত-শিবির বানিয়ে দেওয়া হবে। বিশ্বজিতের হত্যাকারীরা হয়তো হবেযাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বীরসেনানী।

তাঁরা তো দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই না রাজপথে বিএনপি আর জামায়াত-শিবির প্রতিরোধ করতে গিয়েছিলেন। মির্জা ফখরুলের ‘নির্দেশে’ তো আবর্জনাবাহী গাড়ির চালককে মারতে যাননি! মির্জা ফখরুল সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ৩৭টি মামলার আসামি হয়েছেন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের অন্তত এতটা ভোগান্তি সইতে হবে না। বিরোধী দলের মহাসচিবের চেয়ে নিজ দলের খুনির মর্যাদা এখনো বেশি আছে এই রাষ্ট্রে! ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে হয়তো একই রকম ঘটনা ঘটবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।