তারুণ্যের শক্তিতে জাগুন এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে তালগোল পাকিয়ে গেছে। বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল করেছে বিচার প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। কিন্তু এই বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। একথা ঠিক সাধারণ মানুষ যুদ্ধাপরাধের বিচার চায়।
পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য এই বিচার হবে না এটা কেউ আশা করে না। এ কথা তো ঠিক যে মুক্তিযুদ্ধের সময় নারী ধর্ষণ, লুঠতরাজ, গণহত্যা হয়েছে। এবং এগুলোর সাথে কেউ না কেউ তো জড়িত ছিল? এরা কারা। সবাই জানে জামাত জড়িত ছিল, মুসলিম লীগ জড়িত ছিল। এখন নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, সাইদী করেন নাই তাহলে করলোটা কে? মুক্তিযোদ্ধারা? জামাতীরা এখন উঠে পড়ে লেগেছে বিচার বন্ধ করার জন্য।
আর আওয়ামী লীগের তালগোল পাকিয়ে ফেলার সুযোগ নিচ্ছে তারা। বঙ্গবন্ধু সাধারণ ক্ষমা করেছিলেন এমন কথাও বলছেন কেউ কেউ। এগুলোর অর্থ বিচার বন্ধ করা।
বিএনপি বলছে তারা নাকি যুদ্ধাপরাধের বিচার চায়-- তবে তা যেন রাজনৈতিক নিপীড়ন না হয়। -- হায়রে অপরাধীরা রাজনীতি করলে তাদের বিচার করা যাবে না? সেটাও রাজনৈতিক নিপীড়ন?
বিএনপি কি চায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক? তা হলে বিএনপি সুনির্দিষ্টভাবে বলুক তারা ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে।
তারা বলছে ক্ষমতায় গেলে পদ্মা সেতু হবে, বিশ্বজিত হত্যার বিচার হবে-- কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে এটা কেন বলছে না?
বিএনপি মুক্তিযোদ্ধা (স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠকারী) মেজর জিয়ার গঠিত দল। আমরা ভুলে যেতে চাই জিয়া শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন, এটাও ভুলে যেতে চাই-- আলীম তার মন্ত্রী ছিলেন। আমরা কালুরঘাট থেকে তার কণ্ঠের সেই ঘোষণা মনে রাখতে চাই----- আর এই জন্যে চাই বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে এবং তারা এই বিচার কাজে বিব্রতবোধ করবেন না।
বিএনপি যুদ্ধাপরাধের বিচার চায়-- কিন্তু আওয়ামীলীগের করা বিচার রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে হচ্ছে এমন অনুযোগ তোলাটাই যথেষ্ট না-- বিচার চাইলে তা করতে হবে-- এমন কমিটমেন্ট চাই আগামী নির্বাচনে। তাহলে আমরাও আশ্বস্ত হতে পারবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।