আমি স্বপ্ন দেখি একদিন বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে ১.
‘তোরাও ধর না একটু; আমি কি একা পারি নাকি?’ বন্ধুদের ডাকলো প্রান্ত। ওর ডাকে ফিরে তাকালো রিমন আর ডাবলু। ওরা এতক্ষণ কলাগাছগুলো কাটছিল। এদিকে প্রান্ত একা চেষ্টা করছে ভেলাটাকে টেনে পুকুরে নামাতে। প্রান্ত আর তার বন্ধুরা আজ এসেছে ওদের কলা বাগানে।
প্রান্তদের বাড়ির পেছনের পুকুরপাড়ের একপাশে একটা ছোট্ট কলা বাগান। যেসব গাছে মোচা এসেছে সেগুলোকে ছেড়ে ওরা বেছে নিয়েছে কিছু কলাগাছ। কেটে কেটে বানিয়েছে ভেলা। এবার সেটা ঠেলে পুকুরে নামিয়ে শুরু হবে আসল মজা। কিন্তু প্রান্ত একা ওটা ঠেলে পুকুরে নামাতে পারছিল না।
রিমন এসে হাত লাগালো; কাজ হলো না। ‘বেশ ভারী হইছে তো ভেলাটা! এই ডাবলু, আয় না!’ রিমন চেঁচিয়ে ডাকলো।
‘একটা ভেলা তো হলোই। আর দরকার নেই’ ডাবলু হেঁকে বলল।
প্রান্তদের বাড়িটা যেন শহর আর গ্রামের মাঝামাঝি একটা জায়গায় পড়েছে; বাড়ির সামনে পাকা রাস্তা, আবার বাড়ির পেছনে বিশাল পুকুর, তার এক পাশে আম বাগান, আরেক পাশে কলা বাগান।
চারিদিকে কতগুলো নারকেল আর সুপারি গাছ, তা প্রান্ত নিজেও ঠিকঠাক গুনে উঠতে পারেনি তার এই বারো বছরের জীবনে, খেজুর গাছও আছে কিছু। বাড়ির সামনে আছে একটা বিশাল পেয়ারা গাছ, তার একটু দূরে সফেদা আর বরই গাছ। প্রান্ত আজ স্কুলে যায়নি। প্রায়ই সে স্কুল ফাঁকি দেয়। ক্লাস সিক্সে ওঠার পর থেকে তার মধ্যে এই পাগলামি ভর করেছে।
স্কুল ফাঁকি দিয়ে কোনদিন সে গল্পের বই পড়ে দিন কাটিয়ে দেয়, কোন কোন দিন ক্রিকেট খেলে, কখনও বা মহল্লার বন্ধুদের সাথে গাছে গাছে ঝোলে, কাঁচা সফেদা পেড়ে সেটা কুচিয়ে লবণ-মরিচ দিয়ে মাখিয়ে ভর্তা করে খায়। আজ তার মাথায় ভুত চেপেছে, কলাগাছের ভেলা বানিয়ে পুকুরে ভাসবে সারাদিন। তাই আম্মু যেই না অফিসের পথে বেরিয়েছেন, প্রান্তও স্কুলের পোশাক বদলে চলে এসেছে পুকুর পাড়ে। কাল রাতেই পাশের বাসার ডাবলু আর উত্তর পাড়ার রিমনকে বলা ছিল। ওরাও স্কুল ফাঁকি দিয়েছে।
‘তুই স্কুলে গেলি না, আন্টি বকা দেবে না?’ রিমন জিজ্ঞেস করে প্রান্তকে।
‘ধুর! আম্মু জানলে তো? নিজের চাকরি নিয়ে সে দৌড়ের ওপর আছে… অত সময় নেই আমার খবর নেবার। ’ ভেলা ঠেলতে ঠেলতে জবাব দিলো প্রান্ত।
ঝপ করে ভেলাটা পুকুরের জলে পড়ল। তারপর তাতে লাফিয়ে উঠে পড়ল প্রান্ত আর ডাবলু; ভেলাটা একটু কাত হয়ে আবার ঠিক হয়ে গেল।
রিমন দৌড়ে একটা কঞ্চি নিয়ে এসে ঠেলা দিয়ে ভেলাটাকে পাড় থেকে দূরে ঠেলে দিলো। তারপর কঞ্চিটা তুলে দিলো প্রান্তর হাতে। প্রান্ত আর ডাবলুর সে কী উচ্ছ্বাস! রিমন আগেও এরকম ভেলা বানিয়েছে, সে নির্বিকার। প্রান্ত কঞ্চিটাকে লগি হিসেবে ব্যবহার করে পুকুরের পাড়ের কাছাকাছি অগভীর অংশ বরাবর ভেলা চালাতে লাগলো। ডাবলুর একটা পা পড়ে গেল দুই কলা গাছের জোড়ার ফাঁকে, সেটা ঠিক করতে গিয়ে সে ভারসাম্য হারিয়ে জলে পড়ে গেল।
সাথে সাথে হেসে উঠলো প্রান্ত, রিমন এবং পুকুরপাড়ে যেসব ছোট-বড় ছেলে মেয়ে এতক্ষণ এই দৃশ্য দেখছিল।
২.
সন্ধ্যা নেমেছে কিছুক্ষণ আগে। প্রান্ত তখন পড়তে বসবে ভাবছে, এমন সময় চলে গেল বিদ্যুৎ। দিনে কতবার যে লোডশেডিং হয় তার কোন হিসেব নেই। একটু পর শুরু হলো পাওয়ার হাউজের ঘড় ঘড় আর্তনাদ।
প্রান্তদের বাড়িটা নদী থেকে বেশি দূরে নয়। আর এই নদীতে বসানো আছে একটা ভাসমান পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেটা থেকে বিকট শব্দ প্রান্তদের বাড়ি পর্যন্ত ভেসে আসে প্রতিদিন।
লোডশেডিং হলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে সামনের রাস্তায় হাঁটে প্রান্ত। আজও তাই।
প্রতিদিনের মতো আজও রাস্তায় পেয়ে গেল রুবেলকে। রুবেল প্রান্তর বছর তিনেকের বড়। কিন্তু বেশ বন্ধুত্ব ওদের মধ্যে। প্রায় সব বিষয় নিয়ে আড্ডা হয় ওদের। প্রান্ত ক্লাস সিক্সে ওঠার পর থেকে আড্ডার বিষয়বস্তু খেলা, কার্টুন বা সিনেমার ভেতরে আর সীমাবব্ধ নেই।
রুবেল আজকাল মেয়ে-সংক্রান্ত গল্প বেশি করে। সেসব শুনতে প্রান্তরও দারুণ আগ্রহ।
রুবেল একটু বিশ্ব-প্রেমিক ধরনের। প্রায়ই কোন কোন না মেয়ের প্রেমে পড়ছে; প্রেমের জালে আটকাচ্ছেও কোন কোন মেয়েকে। প্রেম বিষয়ে প্রান্তর যাবতীয় জ্ঞান তার এই ‘রুবেল ভাই’-এর কাছে পাওয়া।
আজ রুবেলের হাতে একটা মোবাইল ফোন যাচ্ছে। আলাপ শুরু হলো সেটা নিয়ে।
‘রুবেল ভাই, মোবাইল কিনছেন না কি?’ প্রান্ত বেশ কৌতুহলী ও আনন্দিত।
‘না, এটা আব্বার। আমি কলেজে উঠলে আব্বা আমাকে মোবাইল কিনে দেবে।
’
‘তাই? আমিও আম্মুকে বলব, আমি কলেজে উঠলে যেন আমাকেও দেয়’
‘তোমরা তো বড়লোক। চাইলে এখনই কিনতে পারো…’
‘নাহ, ভাইয়া। আম্মু খুব কিপটা। এখন দেবে না। বলবে, এস.এস.সি.-তে জিপিএ ফাইভ না পাইলে কিচ্ছু দেবে না’
‘হু।
তুমি তো আবার ভাল ছাত্র…’ দাঁত বের করে হাসে রুবেল।
প্রান্ত লজ্জা পায়। কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল প্রান্ত, থেমে গেল মোবাইল ফোনের রিং টোনে। ফোন রিসিভ না করে কেটে দিলো রুবেল। কল ব্যাক করতেই অপর প্রান্তে একটি মেয়ে কণ্ঠ শোনা গেল।
ফোনের গায়ে কান ঠেকিয়ে শোনার চেষ্টা করল প্রান্ত।
‘এত মিসকল দেন ক্যান?’ মেয়েটা বলল।
‘তোমারে মিস করি, তাই…’ রোমান্টিক হাসি হেসে বলে রুবেল।
‘ইশ। থামেন।
মিথ্যা কথা। শোনেন, এইটা বড় ভাইয়ার মোবাইল। আজকে আর কোন মিসকল দিবেন না। আর আমি যদি কথা বলতে বলতে লাইন কেটে দিই, আর কল দিবেন না। বুঝবেন, ভাইয়া এসে পরসে…’
‘ঠিক আসে।
এবার বল, কী বলতে চাইসিলা?’ রুবেলের কণ্ঠ একবোরে তরল। প্রান্ত এমন করে কাউকে আগে কথা বলতে শোনেনি।
‘আমি আবার কী বলতে চাইসি? আপনিতো বললেন, একটা নাম্বার দ্যাও, কথা বলব। আপনি যে কী না…’ বলে খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে মেয়েটা। রুবেলের সাথে প্রান্তও পুলকিত হয়।
কথা এগিয়ে চলে গন্তব্যহীন, বিষয়হীন অথচ সাবলীল গতিতে। প্রান্ত শুনে আনন্দ পায়। রুবেলও প্রান্তকে শুনিয়ে আনন্দ পায়। মিনিট দশেক চলে এভাবে। তারপর হঠাৎ লাইন কেটে দেয় মেয়েটি।
‘কী বুঝলা?’ বিজয়ীর হাসি হেসে প্রান্তর দিকে তাকায় রুবেল।
‘কে ভাইয়া? নতুন মনে হলো?’
‘হুম। কয়েকদিন ধরে রতন স্যারের কাছে আমাদের ব্যাচে পড়তেসে। ক্লাস এইটে পড়ে। ’
‘আপনার তো জুনিয়র…’
‘জুনিয়রই ভাল, সম্মানও করবে, ভালও বাসবে’
‘তাই তো!’
‘ভাই, আমি কবে প্রেম করব?’ প্রান্ত বোকার মতো প্রশ্ন করে।
রুবেল হেসে ফেলে। ‘প্রেম করবা? কার সাথে? কাউরে পাইসো?’
প্রান্ত একটু মিইয়ে যায়। সে ঠিক জানে না, কোন মেয়েকে তার বিশেষভাবে ভাল লাগে কি না। কিন্তু সে চায় তার জীবনে এমন কেউ আসুক, যাকে সে ভালবাসবে, যে তাকে ভালবাসবে। স্কুলে যে ক’জন মেয়ে আছে, কেউ সেভাবে তার ঘনিষ্ঠ নয়।
প্রান্ত মনে মনে একটি মেয়ের ছবি আঁকার চেষ্টা করে। সে ছবি বড় অস্পষ্ট, বড় অসম্পূর্ণ। কখনও তা ক্লাসের সেকেন্ড গার্ল ফারিসা, কখনও সে গানগাওয়া আফরিন, কখনও বা মহল্লার শান্ত-শিষ্ট নাফা’র মুখ। এদের কথা ভাবতে ভাবতে আবার বুকের ভেতর বাজতে থাকে ক্লাস ফাইভে একসাথে পড়ত সেই সাদিয়া’র নাম, যে হঠাৎ ঢাকায় চলে গেল, হারিয়ে গেল ভোর রাতে দেখা অর্ধেক-মনে-থাকা স্বপ্নের মতো…।
৩.
রুবেল আজ বিকেলে ক্রিকেট খেলার সময় প্রান্তকে একটু আড়ালে ডেকে বলল, ‘তোমারে আজ সেই জিনিসটা দেখাবো।
জটিইইল একটা জিনিস। ’
‘কী জিনিস?’ প্রান্তর কৌতুহল বরাবরই বেশি। এই কথা শোনার পর তার ইচ্ছে করছে খেলা ফেলে এক্ষণি সে অজানা জিনিসটা দেখে। গত কয়েক দিন ধরে রুবেল ভাই এটার গল্প বলেছেন। আজ সেটা দেখা যাবে।
গোল্লায় যাক খেলা আজ!
কিন্তু রুবেল কিছুটা গম্ভীর। ‘এখন না। এখন খেলার মাঝখানে চলে গেলে সবাই সন্দেহ করবে। খেলা শেষ হোক…’
খেলা শেষ হলো সেই সন্ধ্যায়। রিমন আর ডাবলু প্রান্তর সাথে আসছিল, রুবেল ওদের বলল, ‘এই, তোরা বাসায় যা।
আমি প্রান্তকে নিয়ে ওদের বাসায় যাব। ’
‘ক্যান?’ রিমন ফস করে প্রশ্ন করে বসল।
‘ঠাটায়ে একটা থাবা মারব, বেয়াদব! এত কথা কস ক্যান?’
রিমন বুঝলো না রুবেল এত ক্ষেপছে কেন।
প্রান্ত বলল, ‘আমি একটা অংক বুঝে নেব রুবেল ভাইয়ের কাছে। হোম ওয়ার্ক আছে।
তোরা বাড়ি যা। ’
রিমন-ডাবলু কী বুঝলো কে জানে! রুবেল যে প্রজাতির ছাত্র, তাতে কোন অংক তো দূরের কথা, বাংলাও সে কাউকে পড়াতে পারবে না কি না সন্দেহ। যা হোক, ওরা প্রান্তর সঙ্গ ছেড়ে যার যার বাড়ির পথ ধরলো। রুবেল আর প্রান্ত চলল প্রান্তদের বাড়ির দিকে।
প্রান্ত ওর ঘরে ঢোকার আগে তার আম্মুকে বলল, ‘আম্মু, রুবেল ভাইয়ার কাছে কিছু অংক বুঝে নেব।
আমাদের ডিস্টার্ব কইরো না। ’
এরপর ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। ঘরে ঢুকে রুবেল একটা বেশ দামি মোবাইল ফোন বের করল। প্রান্ত বিস্মিত, ‘এটা কোথায় পেলেন?’
‘ধার করসি। জুয়েল ভাইয়ের…’
‘জুয়েল ভাই, মানে ঐ যে সারাদিন মোড়ের চায়ের দোকানে বসে আড্ডা মারে?’
‘হ।
উনি বড়লোকের ছেলে। টাকা-পয়সার অভাব নাই। তাই লেখা-পড়া করে না। বাপ পলিটিক্স করে, বছর শেষে ঠিক পাশ করায়ে দেবে কলেজের স্যাররা…’
‘বাদ দেন। কী আনসেন, দেখি…’ প্রান্তর আগ্রহ আকাশছোঁয়া।
হাত বাড়ায় মোবাইল ফোনটার দিকে।
সাথে সাথে ওটা পকেটস্থ করল রুবেল। ‘উহু, আগে মাল-পনি ছাড়ো…। বলসিলাম না, খরচ করতে হবে…’ রুবেলের মুখে বাঁকা হাসি।
‘কত?’
‘আরে জুয়েল ভাইরে এইটার জন্যে ৫০ টাকা দিতে হইছে।
আর মেমোরি কার্ডে জিনিসটা ডাউনলোড করতে লাগসে ২০ টাকা। ’
‘৭০ টাকা!’ প্রান্ত চোখ কপালে তোলে।
‘হ। ক্যান, তোমারে তো ১০০ টাকা ম্যানেজ করে রাখতে বলসিলাম…’
‘হুম, আম্মুকে বলসিলাম নোট ফটোকপি করতে হবে। ৫০ টাকা নিয়ে রাখসি।
’
‘দ্যাও, তাই দ্যাও। ’
ড্রয়ার থেকে ৫০ টাকার নোটটা বের করে দেয় প্রান্ত। জানালাটা খোলা ছিল, এবার ওটাও বন্ধ করে টেবিল ল্যাম্প জ্বেলে, ঘরের মূল আলো নিভিয়ে ফিরে এলো রুবেলের কাছে। রুবেল তখন প্রান্তর বিছানায় এলিয়ে পড়েছে।
রুবেল এবার পকেট থেকে হ্যান্ডসেটটা বের করে চালালো একটা ভিডিও ক্লিপ।
প্রান্ত চোখ বড় বড় করে দেখতে লাগলো নারী-পুরুষের সেই গোপন ক্রিয়াকলাপ। এই প্রথম তার ‘এসব’ দেখা। শরীর গুলিয়ে উঠলো। এক অদ্ভুত অনুভূতি…। অনেক গল্প সে শুনেছে এসবের।
রুবেলের মুখে এসব দৃশ্যের বর্ণনা শুনতে শুনতে শিহরিত হয়েছে বহুবার। কিন্তু আজ নিজের চোখে এসব দৃশ্য দেখে সে বুঝতে পারছে না, এগুলো বাস্তবে কীভাবে করে মানুষ? এত নোংরা, এত অসভ্য কী করে হয় মানুষ?
রুবেল বলল, ‘কী? আরো দেখবা? বাংলাদেশি মডেল শোভারটাও পাইছি আজকে। ঐটা চালাই?’
প্রান্তকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে রুবেল আরেকটা ভিডিও ক্লিপ চালালো। প্রান্ত অবাক হয়ে দেখল তার পছন্দের একজন দেশি মডেল কী অবলীলায় নগ্ন পোজ দিচ্ছে ক্যামেরার সামনে…!
এবার ঘটলো এক অদ্ভূত ঘটনা। ওরা বিছানায় বসে এই দৃশ্যগুলো দেখছিল মোবাইল ফোনের স্ক্রীনে।
দু’জনেই কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। রুবেল হঠাৎ হাত ঢুকিয়ে দিলো প্রান্তর প্যান্টের ভেতর।
চমকে উঠল প্রান্ত। তার দু’কান আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল। এবার মনে হলো গরম ধোঁয়া বেরুচ্ছে সেখান থেকে।
রুবেলকে এক ধাক্কায় বিছানা থেকে ফেলে দিলো প্রান্ত। দরজা খুলে ছুটে বেরিয়ে গেল বাইরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।