যত্তসব নাম সর্বস্ব আর ব্যবসায়ীক- সাংবাদিক তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মান বাড়াতে (সাথে নিজের ব্যক্তিগত অর্জন) তার প্রত্রিকা বা টিভি চ্যানেল থেকে যেন দর্শক চোখ ফিরিয়ে না নেয় -সে জন্য তারা ছদ্মবেশী ঘাতকের মত ওঁৎ পেতে থাকে; যখনই বাংলাদেশের রাজনীতির ছন্ন ছায়ায় লালিত নোংরা, হিংস্র পশু গুলো তাদের কর্মকান্ড চালায় বিশ্বজিতের মত অসহায় এক নিরিহ পথচারীর উপর, তখনই ওঁৎ পেতে থাকা গুপ্ত ঘাতক গুলো আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে তাদের ধারালো অস্ত্রসস্ত্র (ক্যামেরা বা কলম-প্যাড) নিয়ে ! ঘটনাকে বেগবান করতে ওরা কখনও সারি বদ্ধভাবে আবার কখনও বিশৃংখল ভাবে ফ্ল্যাশ লাইটে ঝলসে তলে ঘটনা স্থল ।কো্ন এ্যাঙেল থেকে কিভাবে ছবিটা নিলে তার প্রত্রিকার কাটতি বাড়বে , সেই চিন্তায় নেশাগ্রস্থ হয়ে থাকে । তখন তাদের কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকেনা । একটা জান, একটা প্রানী, একটা মানুষকে কতগুলো হায়েনা ছেঁকে ধরেছে সেটা তখন আর তাদের চোখে পড়েনা । ক্যামেরার সাটার চাপার শব্দ এতই তিব্র আর উচ্চস্বরে হয় যে, অসহায় প্রাণিটি তার প্রিয় প্রাণটি রক্ষারর জন্য শেষ আর্তনাৎ টুকুও পৌছাতে পারে না অন্য কোন পথচারী বা তার পরিচিত প্রিয় মানুষের কাছে । যখন বিশ্বজিতের মত পথচারীর রক্তান্ত শার্ট নিথর দেহখানী পড়ে থাকে এই স্বাধীন সবুজ বাংলার মাটির পরে- তখন আমার মনে হয় -নিউজ কভার করার জন্য ঐখানে দাড়িয়ে থাকা সকল সাংবাদিকই নব্য রাজাকার !! ১৯৭১ সালে রাজাকারদের সহায়তায় যেমন আমার দেশের নিরিহ মা ,বোন, ভাই কে হত্যা করেছিল পাক সেনারা ঠিক তেমনই ঘটল সেদিনের বিশ্বজিতকে হত্যার ঘটনায় । তাই আজ আমি অভিযোগ করতে আসিনি, এসেছি বিশ্বজিতকে হ্ত্যার দায়ে সেখানে উপস্থিত তথাকথিত সভ্যতার বিবেক - সাংবাদিকদের ফাঁসির দাবি নিয়ে ! পুলিশ কে যদি আমরা লাইসেন্সধারী সন্ত্রাসী ধরী তাহলে বিশ্বজিত হত্যার সময় উপস্থিত সাংবাদিকগণ অস্ত্রবিহীন ( যারা অস্ত্র ছাড়াই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায় ) সন্ত্রাসী !!!!!!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।