বিশ্বজিতকে যারা হত্যা করলো তাদেরকে চেনা গিয়েছে। তারা হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মী। প্রথম আলো সূত্রে তাদের নাম পাওয়া যায়, তারা হলো মোঃ শাকিল, তাহসীন কাদের, শাওন, নূরে আলম লিমন, মাসুদ আলম নাহিদ ও ইমদাদুল।
ভাবতে কষ্ট হয় এরা নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এর আগেও একবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কাছ থেকে একজনকে ছিনতাইকারী সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছৃ উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র।
আমিও একজন ছাত্র। জ্ঞান অর্জন করতে এসেছি। এ দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখেছি। ওরাও ছাত্র কিন্তু ওরা এ কী করছে। ওরা কেন এমন দেশের রাজনৈতিক দলের এজেণ্ডা বাস্তবায়ন করছে তা আমার বোধগম্য নয়।
আমি যতদূর জানি শেখ হাসিনা একবার ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে বলেছিল ''শুধু ভালো কর্মী হলেই চলবে না, ভাল ছাত্রও হতে হবে। " কিন্তু আজ ছাত্রলীগের এ কী অবস্থা???
ছাত্রলীগ তোমরা এখন ক্ষমতায় আছো। প্রশাসন তোমার পাশে আছে যা ইচ্ছা তাই করছো। কিন্তু তোমরা ক্ষমতায় এক সময় থাকবে না। তোমরা যারা বিশ্বজিতকে বাঁচতে দিলে না।
তোমাদেরকেও বাঁচতে দেবে না। তোমাদেরকেও হত্যা করা হবে। শেয়াল কুকুরে তোমাদের লাশ ছিড়ে ছিড়ে খাবে।
আজ মনে পড়ছে আমার প্রিয় নেতা ''বঙ্গবন্ধুর'' কথা যে মানুষটা তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর পাশে দাড়ানোর কারনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয় আজীবনের জন্য। আজ তার আদর্শের নাম ভাঙিয়ে যারা রাজনীতি করছো, বিশ্বজিতদের মতো অসহায় মানুষদেরকে খুন করছো।
তোমাদের বাংলার এ মাটিতে শাস্তি পেতেই হবে।
আর তোমরা যারা (শিবির, জামাত, বিএনপি) মরার পর একজন মানুষকে নিজের দলের বলে পরিচয় দিয়ে রাজনীতি করছো, তোমাদেরও ক্ষমা নেই। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন তোমরা এ বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।