বিবিসির খবরে বলা হয়, ব্রিটেনে শিক্ষিত রামি হামদাল্লাহকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাকে এর আগে সরকারের বড় কোনো পদে দেখা যায়নি।
মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ দলের অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে বিরোধের জেরে সালাম ফায়াদ গত এপ্রিল মাসে পদত্যাগ করেন। চলতি মাসের শেষ দিকে তার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা ছাড়ার কথা রয়েছে। তার স্থলেই এখন দায়িত্ব পালন করবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।
নতুন এই নিয়োগকে ‘অনৈতিক’ দাবি করে এর বিরোধিতা করেছে দেশটির ইসলামপন্থী দল হামাস। তারা বলছে, তাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া ঠিক হয়নি।
দলটির নেতা ফাওজি বারহাম রয়টার্সকে বলেন, নিজের পছন্দের প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা না করে আব্বাসের উচিত কায়রোতে সম্পন্ন হওয়া চুক্তির আলোকে কাজ করা।
২০০৭ সালে ফাতাহ পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণ নেয় আর হামাস নেয় গাজার নিয়ন্ত্রণ। তখন থেকেই দল দুটি বিভক্ত অবস্থায় রয়েছে।
তবে গত মাসে হামাস ও ফাতাহ যৌথ সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল।
ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘ দিনের শান্তি প্রচেষ্টা পুনরায় শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করলেন আব্বাস।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণার আগে হামদাল্লাহ পশ্চিম তীরের আল নাজাহ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। নিয়োগের পর তাকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধামন্ত্রী হিসেবেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।