। । গণিত ও গণিতজ্ঞ বিষয়ক কিছু সংগ্রহীত কৌতুক । 1.এক পাগল গণিতবিদ রেস্টুরেন্টে গ্যাছে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য । তিনি শুধু ভাতের অডার দিলেন ।

ওয়েটার যথারীতি ভাত এনে দিল । গণিতবিদ আপন মনে ভাত খেতে লাগলেন । ওয়েটার - স্যার, আপনি তো শুধু ভাত খাচ্ছেন । কোন তরকারি এনে দেই ? গনিতবিদ - আরে ধুর আমি তো ধরিই নিছি আমার কাছে এক বাটি ডাল আছে !! 2. গণিত ক্লাসে ছাত্ররা খুব চিল্লাপাল্লা করছিল । তাই স্যার ছাত্রদের প্যাঁচে ফেলার জন্য একটা প্রশ্ন করলেন- স্যার-যদি আমার মাথার প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে সাড়ে সাইত্রিশটা পাকা চুল থাকে,তবে বল দেখি আমার বয়স কত? একটা ফাজিল টাইপের ছাত্র বলল: স্যার,৫০।

-কিভাবে? -কারণ আমার এক বোন আছে,যার বয়স ২৫ এবং সে আধা পাগল !!!! 3. এক গণিতজ্ঞ দিনরাত গণিত নিয়ে এতই ব্যস্ত থাকেন যে, একমাত্র গণিত ছাড়া দুনিয়ার আর কোন প্র্যাক্টিক্যাল ­ বিষয় সম্পর্কে তার পরিষ্কার কোন ধারণা নেই। এই নিয়ে তার স্ত্রীসবসময়ই তার উপর চোটপাট করেন। কাজেই স্ত্রীর মন রক্ষা করার জন্য একদিন তিনি স্ত্রীকে আশ্বাস দিয়ে বললেন, যাও এখন থেকে আমি তোমার কাছ থেকে টুকটাক সংসারের কাজকর্ম শিখব। স্ত্রী খুবই আনন্দিত হয়ে প্রথমেই তাকে চা তৈরি করা শিখিয়ে দিলেন। চা তৈরির নিয়মটা স্বামীর মনে আছে কি না, সেটাপরীক্ষা করার জন্য দুদিন পরে স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা বল তো, তোমাকেযদি একটা কেতলি আর দেশলাই দেওয়া হয় আর বলা হয়ঘরে গ্যাসের স্টোভ আছে এবং কলে পানি আছে, তাহলে তুমি ঠিক কিভাবে চায়ের পানি গরম করবে? জটিল সব গণিতের সমস্যায় বেচারা স্বামী নিয়মটা ভুলেই গিয়েছিলেন।

কিন্তু অনেক ভেবে কিছুটা স্মরণ শক্তি থেকে আর বাকিটা অনুমান থেকে ভয়ে ভয়ে বললেন, প্রথমে কেতলিতে পানি নিব। তারপর দেশলাই জ্বালিয়ে গ্যাসেরস্টোভটা চালাবো। তারপর কেতলিটা স্টোভের উপর বসিয়ে পানিটা গরম করলেই তো মনে হয়ে যাবে। তাই না? হ্যাঁ, হয়েছে – স্ত্রী বললেন। আচ্ছা এবার বলতো, যদি তোমাকে একটা পানি ভর্তি কেতলি দেওয়া হয় আর একটা দেশলাইএবং গ্যাসের স্টোভ দেওয়া হয়, তাহলে কি করবে? গণিতজ্ঞ এবার হাসিমুখে উত্তর দিলেন, এটা তো খুবই সহজ।

প্রথমে কেতলি থেকে পানিটা ফেলে দিব। তাহলেই সমস্যাটা ঠিক আগের সমস্যাটার মতো হয়ে যাবে। আরসেটার সমাধান তো একটু আগেই করেছি। তাই না! :O ।