বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ূ বড় জোর এক বছর। আপাতত আমি এই মুহূর্তে আমি রাজাকার হতে দ্বিধা করছিনা। এই প্রকাশ্য নৃশংসতার প্রতিবাদ আমাকে যে উপাধিই দিক, আপাতত ভ্রুক্ষেপ করছিনা। আমি জানি, আজ এটা নিয়ে তেমন একটা আলচনা হবেনা, মধ্যরাতে লাশ নিয়ে দাবিদার দুটি পক্ষের ঝগড়ার মাঝে হারিয়ে যাবেন বিশ্ব নাথ! কিন্তু সোনার ছেলেদের সংগঠন ছাত্রলীগের এমন নিকৃষ্ট কাণ্ডের জন্য মৃদু উপদেশ ছাড়া কোন তীব্র প্রতিবাদ কেন উঠবেনা, কেন তাদের নিষিদ্ধ করার ফেনায়িত প্রতিবাদ উঠবেনা ? এর উত্তরকি দিতে পারবেন মুন্তাসির মামুন, জাফর ইকবাল, শাহরিয়ার কবির রা? - এই হল আমাদের সুশীল সমাজ? জুবায়েরের রক্ত শুকাতে না শুকাতেই জাহাঙ্গীরনগরের ভি সি, বিপ্লবি কর্নেলের (তাহের) ভাই ছাত্রলীগকে অনেকটা সুশৃঙ্খল আখ্যা দিলেন। কি দারুন! ক্রমাগত জঙ্গি হয়ে ওঠা এই সংগঠনের অভিভাবকদের কি কিছুই বলার নেই? আমি শুধু কল্পনা করছি, এই ছবিটাতে যদি কোনভাবে জামাতি রঙ থাকতো, আর যদি রক্তাক্ত শার্ট পরা যুবকটি হত কোন আওয়ামী কর্মী?- তাহলে এতক্ষনে কি হত? ট্রাঙ্ক কলে বদলী হয়ে যেত ঢাকার পুলিশ কমিশনার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি হুইসেল বাজিয়ে জামাতের লিস্ট নিয়ে বসতেন, প্রধানমন্ত্রির বিকেলের ভাতঘুম নষ্ট হয়ে যেত, বুদ্ধিজিবিদের টিনের চশমা গুলো জমে বসত নাকের উপর, টি ভি এ্যাঙ্কর চিন্তিত হতেন নিদারুন উদ্বেগে!!! গনতন্র চলছে বেশ। আগামীকাল পত্রিকায় জাফর ইকবালের আরেকটি লেখা চাই- এই শিরোনামে - তোমরা যারা ছাত্রলীগ করো। আশাকরি পাবনা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।